জুমবাংলা ডেস্ক: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় বুধবার আরও চারজনের লাশ উদ্বার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। এ ঘটনায় আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। খবর ইউএনবি’র।
বুধবার সকালে উদ্ধার হওয়া চারজন হলেন- মাছিমপুর গ্রামের জাসদের মেয়ে শান্তা মনি (৩), আরজ আলীর স্ত্রী রহিতুন্নেছা (৩৫) আফজাল হোসেনের ছেলে আসাদ (৫) এবং পেরুয়া গ্রামের নসীবুল্লার স্ত্রী করিমা বিবি (৭৮)।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হওয়া চার শিশু হচ্ছে- রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের বাবুলের ছেলে শামীম (২) বদরুলের ছেলে আবির (৩), পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে আজম (২) এবং নোয়াগ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে সোহান।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রাম থেকে চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামে যাচ্ছিল। নৌকায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩১জন যাত্রী ছিলেন। পথে কালিয়াকুটা হাওরের আইনুল বিলে নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালান। রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই শিশু।
রফিনগর ইউপির চেয়ারম্যান রেজওয়ান খান জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় ৬ শিশুসহ ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও আরও একজন নিখোঁজ রয়েছে।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) বেলায়েত হোসেন জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে হাওরে অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।