বাংলাদেশ তার দীর্ঘ সমুদ্রতীর, সমৃদ্ধ জলজ সম্পদ এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সুবিধা গ্রহণ করে, সুনীল অর্থনীতির ধারণাকে বাস্তবায়ন করছে। টেকসই উন্নয়নের নীতির সাথে সমুদ্র-ভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন করে এই ধারণাটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিপ্লবের নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করে।
সুনীল অর্থনীতির বৈচিত্র্যময় সুযোগ:
মৎস্য ও জলজ প্রাণীর টেকসই উৎপাদন: উন্নত প্রযুক্তি ও টেকসই পদ্ধতি ব্যবহার করে মৎস্য ও জলজ প্রাণীর উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরূপ, চিংড়ি সহ বেশকিছু সামুদ্রিক মাছের উচ্চ-মানের প্রজাতির চাষ যেন বৃদ্ধি করা যেতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
সুনীল অর্থনীতি শিল্প: জলবিদ্যুৎ, সামুদ্রিক খনিজ, সমুদ্র-ভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি এবং জ্বালানির মতো নতুন সুনীল অর্থনীতি শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, সমুদ্রের লবণ, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ সম্পদের উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য শিল্প স্থাপন করা হচ্ছে।
পর্যটন: মনোরম সমুদ্র সৈকত, সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য এবং ম্যানগ্রোভ বন সহ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নীল পর্যটনের জন্য অপার সম্ভাবনা ধারণ করে। টেকসই পর্যটন নীতির মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার এবং কুয়াখালী উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে সুনীল পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
সমুদ্র পরিবহন: উন্নত নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে আরও সহজ করে তুলবে। নতুন বন্দর এবং জাহাজ নির্মাণের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেশটি একটি আঞ্চলিক নৌ-পরিবহন কেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
ব্লু ইকোনমি মূলত সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের একটি ধারণা। এর মধ্যে রয়েছে মৎস্য সম্পদ, সামুদ্রিক খনিজ, পর্যটন, শিপিং, সমুদ্র ভিত্তিক শিল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন। সামুদ্রিক সম্পদ ও শিল্প খাতের উন্নয়ন দেশের জিডিপি বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।