জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরার সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে বনদস্যুদের কবল থেকে অপহৃত দশ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিনটি নৌকা, একটি সোলার প্যানেল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বন বিভাগের সদস্যরা।
গতকাল (৪ নভেম্বর) রাতে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের চুনকুড়ি নদীর তক্কাখালী এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর চুনকুড়ি এলাকার দাউদ গাজীর ছেলে আব্দুল আলিম (৬২), একই এলাকা মৃত বাহার আলী সরদারের ছেলে নূর ইসলাম (৪৫), আব্দুল আলিম গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৮), ছোট ভেটখালী এলাকার ফজলু সানার ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫), একই এলাকার মৃত নজরুল ফকিরের ছেলে রাজু ফকির (৪৭), মৃত মজিদ গাজীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫), নুরনগর ইউনিয়নের দুরমুজখালী এলাকার মৃত লিয়াকত মল্লিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর এলাকার খলিলুর রহমান গাজীর ছেলে মফিজুর (৩৮), একই এলাকার মৃত ইমান আলী সানার ছেলে মুছাক সানা ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বড় ভেটখালী এলাকার মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৭)।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের এসিএফ ইকবাল হোসেন চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীর তক্কাখালী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা বনবিভাগের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে বনবিভাগের সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় প্রতিরোধের মুখে বনদস্যুরা পালিয়ে যায়। ধ্বংস করা হয় বনদস্যুদের একটি আস্তানা।
পরে ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত দশ জেলে, তিনটি নৌকা, একটি সোলার প্যানেল, ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, তাদেরকে বিভিন্ন সময় সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে বনদস্যু মঞ্জুর বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে। এই বাহিনীর প্রধান হিসেবে মঞ্জুর নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সুন্দরবনে ফের দস্যুতা শুরু করেছে জেল ভেঙে পালানো দণ্ডপ্রাপ্তসহ দাগী আসামিরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।