জুমবাংলা ডেস্ক : সুন্দরবনে জলদস্যুতা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। গত চার দিনে দস্যুরা ১৫ জন জেলেকে অপহরণ করেছে। অপহৃত জেলেদের পরিবারের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্টরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তাদের মুক্তির জন্য।
জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি দুবলার চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে দস্যুরা ১৫ জেলেকে অপহরণ করে। এ সময় আরও কয়েকজন জেলেকে অপহরণের চেষ্টা চালানো হলে, জেলেরা সাহসিকতার সাথে ৩ দস্যুকে আটক করে। পরে আটক দস্যুদের কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আলোরকোল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (সিসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপহৃত জেলেরা হলেন- শাহ আলম, আজাহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আরাফাত হোসেন, আলমগীর হোসেন, শাহাজান গাজী, রাসেল, শাহজাহান ঢালী, হাফিজুর রহমান, শাহীনুর আলম, মতিয়ার সরদার, খান রফিক, রিপন মোড়ল, নুরে আলম, ও নাথন বিশ্বাস। তারা খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। অপহৃত জেলেরা দুবলার আলোরকোল চরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ শিকার ও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, কোস্টগার্ড ৩ দস্যুকে হস্তান্তর করেছে এবং এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দস্যুদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জেলেদের অপহরণের চেষ্টা চালানোর সময় জেলেরা তাদের আটক করে কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করে।
দুবলার চর ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “১৫ জেলে ও মাছ ধরার একটি ট্রলারসহ দস্যুদের কাছে জিম্মি অবস্থায় আছে। জেলেদের পরিবার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আমরা জেলেদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।”
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, “সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে অপহৃত ১৫ জেলেকে উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ সদস্য অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।