স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে অস্ট্রলিয়া ক্রিকেট দল। আর ‘সুপার ফিট’ অস্ট্রেলিয়া দল আসন্ন সীমিত ওভারের সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার।
গত মার্চের পর করোনাভাইরাসের মধ্যেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আবারও ক্রিকেটে ফিরছে অস্ট্রেলিয়া। পার্থ থেকে সরাসরি ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে পৌঁছায় অজিদের ২১ সদস্যের দল। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডার্বিতে পৌঁছে আইসোলেশনে আছে ক্রিকেটাররা।
আইসোলেশন থাকাকালীনই ক্রিকেটারদের অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া হবে। এরপর নিজেদের মধ্যে ৪টি অনুশীলন ম্যাচও খেলবেন তারা। প্রায় ছয় মাস পর ২২ গজে খেলার সুযোগ হবে স্মিথ-ওয়ার্নারদের।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে জৈব-সুরক্ষার মধ্যেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে সফর শুরু হবে। সাউদাম্পটনে হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলো ম্যাচ। সংক্ষিপ্ত ভার্সনের পর ম্যানচেষ্টারেই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিন ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ।
স্বাভাবিকের চেয়েও বড় একটি স্কোয়াড সাজিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অনুশীলন ম্যাচের জন্য তাদের পর্যাপ্ত খেলোয়াড় আছে বলে মনে করেন ল্যাঙ্গার।
অজি কোচ বলেন, আমরা ইংল্যান্ডে যাতে প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ন ভালো কিছু ম্যাচ খেলতে পারি সে জন্যই ২১ সদস্যের দল গঠন করেছি। ছেলেরা কৌশলগত অনেক কাজ করেছ। ইংল্যান্ড পৌঁছানোর আগেই তারা সুপার ফিট। আমরা সরাসরি অনুশীলনে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আমরা ছেলেদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি, যাতে খেলা শুরু করতে পারে এবং আমরা সেটাই আশা করছি। কারণ আমাদের সাথে ২১ জনই ফিট খেলোয়াড় এসেছে। যাতে আমরা অনুশীলন ম্যাচের মধ্যে থাকতে পারি।
অধিনায়ক আ্যারন ফিঞ্চের সাথে ইনিংস শুরু করবেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে থাকছেন স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন।
ল্যাঙ্গার বলেন, দলের সাথে একজন ক্রীড়া মনোবিজ্ঞানী আছেন। জৈব-সুরক্ষার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে যাতে খেলোয়াড়দের কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখবেন মনোবিজ্ঞানী। আগামী বছর ভারতে ও ২০২২ সালে নিজ দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য দল নিয়েও পরিকল্পনা আছে তাদের।
তিনি বলেন, আমরা এখনও সেরা ১১ জনকে নির্বাচন করিনি। এভাবেই সব সময় অস্ট্রেলিয়া দলে কাজ করা হয়েছে এবং কিছু তরুণ খেলোয়াড় আছে যদি তারা অনুশীলন ম্যাচে পারফরমেন্সের মাধ্যমে জায়গা করে নিতে পারে, তবে তা দুর্দান্ত হবে। অন্যথায়, তাদের দলের সাথে রাখা ভালো হবে এবং যাতে তারা অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পাবার মত অবস্থা অনুভব করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।