জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মতো ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় পুনর্বিনিয়োগ সুবিধা আরো বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি মালিকানাধীন শিপিং বা এয়ার ওয়েজ কম্পানির বিদেশে অবস্থিত অফিসে চাকরিরত অনিবাসী বাংলাদেশি মেরিনার, পাইলট ও কেবিন ক্রুদের ওয়েজ আর্নার্স বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, পেনশনারদের সুবিধার্থে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফার পরিবর্তে প্রতি মাসে মুনাফা প্রদানের বিধান করা হয়েছে, যা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে এখন থেকে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না বিধায় অনিবাসী বাংলাদেশিরা যেকোনো অঙ্কের অর্থ এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন। জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অধীন পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে মূল বিনিয়োগ করা অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগ করা যাবে।
অন্যদিকে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক-মেয়াদি হিসাবের ক্ষেত্রে মুনাফাসহ মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ পুনর্বিনিয়োগের সুবিধা থাকবে।
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে একবার আনীত রেমিট্যান্সের অর্থ এক মেয়াদে বিনিয়োগ এবং আরো দুই মেয়াদে পুনর্বিনিয়োগ অর্থাৎ তিন মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।
ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে আনীত রেমিট্যান্সের অর্থ একবার বিনিয়োগ এবং আরো চারবার পুনর্বিনিয়োগ অর্থাৎ পর পর সর্বোচ্চ পাঁচ মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।
এর আগে ২০২০ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রবাসীদের তিনটি বন্ডের বিপরীতে সমন্বিত বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা এক কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নির্ধারিত ছিল। এখন এই সীমা তুলে দিয়েছে সরকার। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন করে আরো সুবিধা বাড়িয়েছে।
দেশে সাধারণ মানুষের কাছে নিরাপদ বিনিয়োগের আস্থার মধ্যে সঞ্চয়পত্র অন্যতম শীর্ষস্থানে রয়েছে। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার এই অর্থ দিয়ে অনেক পরিবারের খরচ চালানো হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি তিন মাস অন্তর পেলে সেসব পরিবারকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এসব বিবেচনায় প্রতি মাসে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ যতটা কমেছিল তাতে গতি ফিরবে।
এখন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ১১টি চালু সঞ্চয় কর্মসূচির (স্কিম) মধ্যে চারটি সঞ্চয়পত্র, দুটি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাব, একটি ডাক জীবনবিমা, একটি প্রাইজ বন্ড এবং তিনটি প্রবাসীদের জন্য বন্ড আছে। এসব স্কিমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদ বা মুনাফার হার আলাদা। এই মুনাফার ওপর উৎস কর কর্তনের হারও আলাদা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।