বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ঝাঁ চকচকে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস- টেন হাতে নিয়ে গর্বে বুকটা ভরে যেতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন, যেখানে সেখানে ফেলে রাখবেন না ফোন। শুধু চুরি যাওয়ার ভয়েই নয়, আপনার আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দ্বারা ‘সুরক্ষিত’ ফোনটি যে কেউ চাইলে আনলক করে ফেলতে পারে, সেই ভয়ে।
অত্যাধুনিক এই মডেলটির আলট্রাসনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের সমস্যা হলো এই যে, সেটি শুধুমাত্র আপনার আঙ্গুলের ছাপ দ্বারা চালিত হওয়ার কথা হলেও যে কোনও কারোর আঙ্গুলের ছাপেই চালিত হতে পারে তা, ফলে খুলে যেতে পারে আপনার ফোন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের ‘দ্য সান’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্যামসাং। এই অভিযোগ প্রথম করেন এক ব্রিটিশ মহিলা, যার ‘লকড ফোন’ ফোন তার স্বামীর আঙ্গুলের ইঙ্গিতে খুলে যায়।
চলতি বছরের মার্চ মাসে বাজারে আসে গ্যালাক্সি এস টেন। ফোনটির ডিসপ্লের নিচেই রয়েছে আলট্রাসনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্যামসাং ঘোষণা করেছে যে একটি সমস্যার সমাধান করতে একটি ‘প্যাচ’ বাজারে ছাড়বে তারা। তবে সংস্থার ওয়েবসাইটের ‘সাপোর্ট’ পেজে তারা এও বলেছে যে ‘বাইরে থেকে নেওয়া, আঁচড় লাগা, বা নোংরা স্ক্রিন আবরণের ফলেও গোলমাল করতে পারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর’।
কিন্তু সিলিকন ফোনের কেস সংযুক্ত আবরণের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে এই সমস্যা। এই ধরনের প্রোটেক্টর ব্যবহার করলে আনলক হয়ে যাচ্ছে ফোন, তাদের কাস্টমার সাপোর্ট অ্যাপে জানিয়েছে স্যামসাং।
‘দ্য সান’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে ব্রিটিশ মহিলা প্রথম সমস্যাটি প্রকাশ্যে আনেন, সেই লিজা নিয়েলসন একটি ‘জেল কভার’ ব্যবহার করছিলেন, যার উপর দিয়েই দুই বুড়ো আঙুল ব্যবহার করে ফোন আনলক করতে সক্ষম হন তার স্বামী।
টুইটারে এক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, নতুন গ্যালাক্সি নোট টেন ফোনটিতেও রয়েছে এই একই সমস্যা। টুইটারে এই ফোনটি সিলিকন কেসের বর্ম ভেদ করে কীভাবে খোলা যায়, তার ভিডিও-ও পোস্ট হয়েছে টুইটারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।