দিনের বেলা হোক কিংবা রাতেই হোক, সঙ্গীর সঙ্গে ঠিক কোন সময় শারীরিকভাবে মিলিত হচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে স্বাস্থ্য। অনেকেই ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ইংল্যান্ডের অ্যাঞ্জোলিয়া রাসকিন ইউভার্সিটির একদল গবেষক গত সপ্তাহে তাদের এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছেন। তাতে উঠে এসেছে, কোন সময়ে শারীরিক মিলনে কী ধরনের প্রভাব পড়ে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য।
গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে একই সময়ে শারীরিক মিলনে এক ধরনের প্রভাব পড়ে। সময়ানুসারে যৌন মিলনের প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো।
সকাল ৬টায় : আপনি যদি সন্তান চান, তাহলে ঘড়িতে ৬টার ঘরে অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। আর সে অনুসারে সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হতে পারেন। গবেষকরা বলছেন, সকালের দিকে স্পার্ম অনেকটাই স্বাস্থ্যবান থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পার্ম কাউন্ট অনেকটাই কমে যায়।
সে কারণে, সকালের দিকে মিলিত হলে সন্তান ধারনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৭টা ৩০ মিনিট : আপনি যদি নারী হন এবং খেয়াল করে দেখেন যে, আপনার পুরুষ সঙ্গীটি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই সময়ে শারীরিকভাবে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। কারণ, এই সময়ে আপনার সঙ্গীর টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি শক্তিশালী থাকে। এই সময়ে মিলন হলে দম্পতির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর পুরুষের পেশীও সুদৃশ্য হয়।
৮টা ৩০ মিনিট : গবেষকরা বলছেন, দুপুরের আগে যে কোনো ধরনের যৌন ক্রিয়াকলাপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। নিয়মিতভাবে এই সময়ে যৌন মিলনের ফলে শরীরে কোনো ধরনের ইনফেকশন তৈরি হয় না। কারণ, শরীর থেকে একধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এই সময়ের মিলনে।
বেলা ১২টা : কাজের চাপে যদি আপনার মাথা ভনভন করে কিংবা মাথাটা ঝিম ধরে আসে, সে ক্ষেত্রেও এই সময় শারীরিকভাবে মিলিত হলে লাভবান হবেন। কারণ, এতে করে আপনার মস্তিষ্ক অনেকটাই আরাম পাবে।
নিয়মিতভাবে এই সময়ে যৌন মিলনের ফলে শরীর চনমনে থাকবে এবং চাপ অনেকটাই কমে যাবে।
৩টা ৩০ মিনিট : হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলো দুপুর পর বেলা ৩টা ৩০ মিনিটের যৌনতা। কেউ যদি নিয়মিত ওই সময় শরীরিক সম্পর্কে জড়ান, তার হার্টের সমস্যা হওয়ার শঙ্কা অন্যদের তুলনায় কম।
সন্ধ্যা ৭টা : পুরুষদের অনেকেই নিজের যৌন ক্ষমতা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। সে ক্ষেত্রে যৌন মিলনের জন্য বেছে নিতে পারেন সন্ধ্যা ৭টার পরের সময়। এতে করে আপনার শরীরে সর্বোচ্চ উত্তেজনা কাজ করবে।
গবেষকরা বলছেন, ওই সময় ১৬৯ শতাংশ বেশি রক্ত সঞ্চালন করে। যৌন জীবন সুখের করতে এই সময়টাও বেছে নিতে পারেন।
রাত ৮টা : বয়স ৪০ এর ঘরে পৌঁছলেই অনেকেই ঘুমানোর অভ্যাস বদলে ফেলেন। তারা চেষ্টা করেন, আগে ঘুমিয়ে আগে জেগে ওঠার। এতে করে যৌন জীবনও কিছুটা রুটিন পাল্টায়।
গবেষকরা বলছেন, এই সময়ে নিয়মিত যৌনতা এবং পরিমিত ঘুমের ফলে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে। এতে করে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায় এবং মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে, সেটাও কমে যায়।
রাত ১০টা : অনেকেই ঘুমানোর আগে শারীরিকভাবে মিলিত হন। গবেষকরা বলছেন, এইসব মানুষদের ঘুম ভালো হয়। কারণ, মিলনের ফলে তাদের শরীরের এক ধরনের অ্যানার্জি লস হয়। সেই সঙ্গে সারাদিনের ক্লান্তিও অনেকটাই কেটে যায়। মিলনের পর শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিতেই হাজির হন ঘুমদেবী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।