নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ভারত সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. রাজকুমার রঞ্জন সিংয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম সাথে ছিলেন। এ সময় উভয় দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের বিকাশের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিসহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে কথা হয়।
সাক্ষাতকালে ভারত ও বাংলাদেশের সুসম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় এবং বলা হয় যে, এই সুসম্পর্কের কারণে গত কয়েক বছর ধরেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে বিপুল প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
এসময় আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সবসময়কার ভালো বন্ধু ভারত। ১৯৭১ সালেও স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারত বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে, সহযোগিতা করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ওই সময়ে যে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল সেই সময়ে ভারতের সহযোগিতা সবসময় বাংলাদেশ গভীরভাবে আন্তরিকতার সাথে স্মরণ করে।’
আগামী দিনগুলোতেও দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতি মাধ্যমে এই দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিতরা একমত প্রকাশ করেন।
এ সময় বাংলাদেশের সিলেট এবং ভারতের আসাম এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের স্থানগুলোতে যৌথ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে আলোচনা করা হয়।
এই আলোচনায় জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রজঙ্গীবাদ শুন্যের কোঠায় পৌছেছে। এলাকার মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ শান্তি ও উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই।
ভারতের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আসামে আয়োজিত শিলচর-সিলেট উৎসবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি দল।
এই দলে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাওনওয়াজ, সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন, সিলেট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমেদ, সিলেট উইম্যান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শারনালতা রায়, সাবেক নৌপরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটির সভাপতি রশিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি, সাবেক সচিব জিষ্ণু রায় চৌধুরী, সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোফির সেতু, বাংলাদেশের কবি ও গবেষক নৃপেন্দ্র লাল দাস প্রমুখ ছিলেন।
২ ও ৩ ডিসেম্বর দুইদিনব্যাপী শিলচর-সিলেট উৎসব উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি, পর্যটন ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।
শনিবার উৎসেবর দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ ও ভারত তথা নর্থ ইস্টার্ন জোনে ব্যবসা ও বাণিজ্য, সড়ক যোগাযোগ ও পর্যটনের সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনারে ট্রেড এন্ড কমার্স প্যানেল আলোচনায় কো-চেয়ারম্যানের বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
এই অনুষ্ঠানে ভারতের আসাম সরকারের শিল্পমন্ত্রী ও বাণিজ্য, পাবলিক এন্টারপ্রাইজ এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী বিমল বোরা, ভারতের সংসদ সদস্য রাজদীপ রায়, ভারতের নর্থ ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান পিভিএসএলএন মুর্তি, ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারনার অডিটরসের সভাপতি রবি পাটওয়া, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ফরেন ট্রেডের ভাইস চ্যান্সেলর মনোজ পন্ত, ভারতের উদ্যোক্তা রঞ্জিত বার্থঠাকুর, ভারতের অভ্যন্তরীন জলপথ কর্তৃপক্ষের পরিচালক এ. সেলভাকুমার, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিরঞ্জন রায়, ভারতের আইআইটি গুয়াহাটির পরিচালক টিজি সীতারাম, এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের নির্বাহী পরিচালক সব্যসাচী দত্ত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ঠাকুর অধ্যাপক অমিত্রসুদন ভট্টাচার্য, লেখক ও কর্মী মোহিত রায়, ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বতোষ চৌধুরী, কাছাড় কলেজের বিভাগীয় প্রধান সুমিত্রা ঘোষ, ভারত সরকারের বহিরাগত ও শিক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, ভারত ফাউন্ডেশনের বিশিষ্ট ফেলো রামি দেশাই প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
সুসম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্যে বিপুল প্রবৃদ্ধি হয়েছে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।