
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ও তার ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত কাউন্সিল সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার আটক দুইজনকে ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের এসব অভিযোগ আদালতে উত্থাপন করা হয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ, যোগাযোগের জন্য ওয়াকিটকি যন্ত্র অবৈধভাবে আমদানি করেছেন এবং তা ব্যবহার করেছেন। পুলিশ বলছে, বেশ কয়েকটি অভিযোগের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত হেফাজতে থাকবেন সু চি।
বিবাদী পক্ষকে জেরা করার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও আইনি সহায়তা নেওয়া পর্যন্ত সু চিকে হেফাজতে রাখা হবে বলে পুলিশের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত সু চি কী অবস্থায় এবং কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে উইন মিন্তকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা আইনের অধীনে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি মোটর গাড়ির বহর নিয়ে সমর্থকের সঙ্গে দেখা করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইনে অভিযোগ করা হয়েছে। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার মিয়ানমারে অভ্যুত্থান করে দেশটির সেনাবাহিনী। অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে তারা। সেনা কর্তৃপক্ষ দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। একই সঙ্গে সু চিসহ এনএলডির শীর্ষ নেতাদের অন্তরীণ করা হয়েছে। আইনপ্রণেতাদের করা হয়েছে গৃহবন্দি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


