জুমবাংলা ডেস্ক: সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রিটেনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলার।
বাংলাদেশের বাইরে বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় এই বাসভূমিতে পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নয় মাস ব্যাপী এক বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যুবরাজ চার্লস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশেষ বাণীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মি. জনসন ব্রিটেনের আর্থ-সামাজিক খাতে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ছয় লক্ষ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী দু’দেশের মধ্যে বন্ধনকে জিইয়ে রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী জনসনের ভিডিও বার্তা (ইংরেজি):
I want to congratulate the people of Bangladesh on your 50th anniversary.
The bond between our two nations is incarnated by the 600,000 strong British-Bangladeshi community, who contribute so much to our country 🇬🇧🇧🇩#Bangladesh50#BritBanglaBondhon pic.twitter.com/kIw0BSFWtF
— Boris Johnson (@BorisJohnson) March 26, 2021
করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিভাগ এনএইচএস-এ কর্মরত নার্স এবং ডাক্তারদের তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো সংসদীয় এলাকার নির্বাচিত এমপি রুশনারা আলীও টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা চরম ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের কাছে আমরা বিপুলভাবে ঋণী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যেসব ব্রিটিশ বাংলাদেশী লড়াই করেছেন, আমাদের পূর্ব প্রজন্মসহ, আমরা তাদের নিয়ে খুবই গর্ব অনুভব করি বলে মন্তব্য করেন রুশনারা আলী।
রুশনারা আলীর অভিনন্দন বার্তা (ইংরেজি):
Today marks the 50th anniversary of Bangladesh’s independence. As a British Bangladeshi, I am extremely proud to mark this special anniversary, and pay tribute to all those who sacrificed their lives for an independent nation. pic.twitter.com/4hzFwD7G4t
— Rushanara Ali 💙 (@rushanaraali) March 26, 2021
সূবর্ণ জয়ন্তীর সকালে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন টাওয়ার হ্যামলেটস-এর নির্বাহী মেয়র জন বিগস্ এবং লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম।
টাওয়ার হ্যামলেটস কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি বিরল সম্মান, যেখানে একজন নির্বাহী মেয়র কোন বিদেশি রাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করছেন।
২৬৫ দিনের উৎসব
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করতে টাওয়ার হ্যামলেটস থেকে যে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে, সেটি চলবে ২৬৫ দিন ধরে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসের সংগ্রামকে সম্মান জানাতে এই সময়সীমাকে নির্বাচন করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।
এতে নানা ধরনের অনলাইন ইভেন্টের পাশাপাশি থাকছে ছবি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভা।
এরই অংশ হিসেবে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় তৈরি করা হবে একটি বিশাল ভাস্কর্য।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল পোর্ট্রেট গ্যালারির সহায়তায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মিলে বাঙালী শিল্পী রুহুল আবদিন এটি তৈরি করবেন।
সূবর্ণ জয়ন্তীর সন্ধ্যায় লন্ডনের একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান ‘লন্ডন আই’কে বাংলাদেশের পতাকার রঙের আলো দিয়ে সাজানো হয়। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভবনটিও সাজানো হয় আলোকমালায়।
এছাড়াও পুরো ব্রিটেন জুড়ে বাংলাদেশীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্থানীয় পর্যায়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।