একটি ডাইসন গোলককে বিবেচনা করা হয় বিশাল হাইপোথেটিকাল কাঠামো হিসেবে যা একটি নক্ষত্র থেকে সমস্ত শক্তি ব্যবহার করতে পারে, এ কাজে প্রচুর পরিমাণ সম্পদের প্রয়োজন হবে। “পসিবিলিটি অফ নিউ লাইফ” শিরোনামে তার নতুন বইতে বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক জেইম গ্রিন ধারণাটি আবিষ্কার করেছেন এবং প্রকাশ করেছেন যে, আমাদের সূর্যের চারপাশে এমন একটি মেগাস্ট্রাকচার তৈরি করা সম্ভব যা বৃহস্পতির মতো বড় একটি গ্রহকে ভেঙে ফেলার সাথে সর্ম্পক থাকবে। এই অদ্ভুত ধারণাটি প্রাথমিকভাবে 1960 সালে পদার্থবিদ ফ্রিম্যান ডাইসন দ্বারা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
জেইম গ্রিন ব্যাখ্যা করে যে, একটি ডাইসন গোলক নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত উপাদান পেতে এমন প্রক্রিয়া প্রয়োজন যেখানে গ্রহের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নকরণের প্রয়োজন হবে। যাইহোক, এটি একটি ছোট গ্রহ নয় বরং আকারে বৃহস্পতির সাথে তুলনীয় একটি বিশাল গ্রহ হবে। এই ধরনের একটি প্রচেষ্টার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের পরিমাণ আসলেই অনেক বেশি।
এই ধারণাটি একটি আকর্ষণীয় ইন্টেলেকচুয়াল চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানী অন্যান্য স্টার সিস্টেমের সম্ভাব্য ডাইসন গোলকের জন্য আকাশ স্ক্যান করে বহির্জাগতিক জীবনের লক্ষণ অনুসন্ধান করার কাজটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন। আমাদের ভবিষ্যত বংশধররা কী নির্মাণ করতে পারে তা নিয়ে চিন্তা করার মাধ্যমে, আমরা মহাবিশ্বের বিশাল বিস্তৃতিতে কী অনুসন্ধান করতে হবে সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারি।
যাইহোক, একটি ডাইসন গোলক নির্মাণ একটি বিশাল উদ্যোগ যা আমাদের বর্তমান প্রযুক্তিগত ক্ষমতার সীমানাকে ঠেলে দেয়। আমাদের সূর্যের চারপাশে এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে, আমাদের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অনেক সম্পদের প্রয়োজন হবে।
বৃহস্পতি, একটি গ্যাস দৈত্য যার ভর পৃথিবীর থেকে 300 গুণ বেশি, এটি নির্মাণের জন্য একটি রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বৃহস্পতির মতো বিশাল গ্রহের বিচ্ছিন্নতা কল্পনা করা এই তাত্ত্বিক মেগাস্ট্রাকচারকে বিশাল চ্যালেঞ্জ মনে করেন।
যদিও একটি ডাইসন গোলক নির্মাণ বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তিগত নাগালের বাইরে হতে পারে, এই ধরনের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করা আমাদের জ্ঞানকে প্রসারিত করে এবং ভবিষ্যতের অনুসন্ধানকে অনুপ্রাণিত করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।