পৃথিবী থেকে বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে গরম গ্যাসের একটি বিশাল বল আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞানীরা। সবথেকে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে শত শত সূর্য এক জায়গায় করলে যে পরিমাণ উজ্জ্বলতা প্রকাশ পাবে এ বলটি তার থেকেও অনেক বেশি উজ্জ্বল।
তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে এ গরম গ্যাসের বল নিয়ে খুব বেশি তথ্য নেই। এটি আসলে কি জিনিস তা নিয়ে খুব বেশি তথ্য দিতে পারছে না গবেষকরা। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কয়েকটি থিওরি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।
এ গরম গ্যাসের বলের উজ্জ্বলতা এত বেশি যে এটি কল্পনা করা কঠিন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করে যে, এটি একটি চুম্বক এবং এক ধরনের সুপারনোভা যা অনেক শক্তিশালী।
হয়তো বিজ্ঞানীদের দেখা এখন পর্যন্ত সবথেকে শক্তিশালী সুপারনোভা হবে এই গ্যাসের বলটি। ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রজিসটফ স্ট্যানেক বলেছেন যে, এটি একটি ম্যাগনেটার হতে পারে। যদি ম্যাগনেটার হয় তাহলে এটি নিয়ে অতীতে আমরা যা কিছু জানতাম তার অনেক কিছুই ভুল প্রমাণিত হবে।
অল-স্কাই অটোমেটেড সার্ভে অফ সুপারনোভা যা দূরবীনগুলির একটি কম্প্যাক্ট নেটওয়ার্ক, তাদের কাজ হচ্ছে মহাজাগতিক আলোকিত জিনিসগুলি সনাক্ত করা। তারাই সর্বপ্রথম এ সুপারনোভা আবিষ্কার করেছিল। যদিও এই বস্তুটি খুব উজ্জ্বল, তবুও এটি ৩.৮ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে থাকায় মানুষের চোখে দেখা যায় না।
২০১৪ সালে এর সূচনা থেকে, ASAS-SN প্রায় ২৫০টি সুপারনোভা সনাক্ত করেছে, কিন্তু এই অনুসন্ধান অন্য সুপারনোভা থেকে বেশ আলাদা। এটি সাধারণ সুপারনোভা থেকে ২০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল, সূর্যের চেয়ে ৫৭০ বিলিয়ন গুণ উজ্জ্বল এবং মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সমস্ত তারার চেয়ে ২০ গুণ বেশি উজ্জ্বল।
ওহিও স্টেটের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক টড থম্পসন বলেন যে, “আমাদের জানতে হবে যে, এটা কিভাবে সম্ভব। এটি উজ্জ্বল করতে অনেক শক্তি লাগে, এবং সেই শক্তিটি কোনো সোর্স থেকে আসতে হবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।