সৃজিত-মিথিলার বৌভাত, দাওয়াত পাচ্ছেন না কোনো বাংলাদেশি

বিনোদন ডেস্ক : না, না, না করেও হচ্ছে সবই। প্রথমে তো স্বীকারই করতে চাননি। যখন জানা গেল, ততদিনে চার হাতের মিলন হয়ে গেছে। অথচ চার চোখের চোখাচোখি বুঝতে পেরেছিলেন অনেকেই। বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞজনেরা কি সাধে বলেন- প্রেম এবং ধোঁয়া ঢেকে রাখা যায় না।

প্রেম লুকোতে পারেননি সৃজিত-মিথিলা। কলকাতায় নিজ বাড়িতে রেজিস্ট্রি বিয়ের দিনও রাখঢাক কম ছিল না। সেদিন ছিল শীতের সন্ধ‌্যা। বসন্ত ছিল সমাগত। সেই হিমসন্ধ‌্যায় ভিজে সৃজিত বাড়ির সদর দরজায় দাঁড়িয়ে লাজুক কণ্ঠে মিডিয়াকে বলেছিলেন- না লুকিয়ে আসলে উপায় ছিল না। শুধু কি তাই, কোথায় হানিমুনে যাচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সৃজিত বলেছিলেন- সময় কোথায়? বটে! এর পরদিনই সৃজিত-মিথিলা উড়াল দিয়েছিলেন সুইজারল‌্যান্ড।

এদিকে দুজনের বিয়ে রেজিস্ট্রির সময় ঘনিষ্ঠ দু’চারজন মাত্র নিমন্ত্রিত ছিলেন। বাকিদের শুধু হা-পিত্তেশ! সেই হাহাকার বুঝি এবার ফুরালো। অবশেষে বিবাহত্তোর সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন সৃজিত। এই নির্মাতার ভাষায়: ‘… পৃথিবীর সব উৎসবের ইতিহাসই বন্ধুবান্ধবদের খাওয়ানোর ইতিহাস। তাই নতুন আলুর খোসা আর ভালোবাসা দিয়ে ভাত-ডাল মাখার আগে চাই একটা জমজমাট হুল্লোড় আর ভুরিভোজ। ইংলিশ মিডিয়ামে যাকে বলে, ‘রিসেপশন’।’ খাঁটি বাঙালি শব্দ- বৌভাত।

প্রিয় পাঠক, ঠিকই পড়েছেন। আসছে ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ‌্যায় সৃজিতের রাজকুটিরে এই দম্পতির রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ছাপা হয়েছে নিমন্ত্রণপত্রও। নিমন্ত্রণপত্রের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, বসন্ত এসে গেছে।

নিমন্ত্রণপত্রের কথাগুলোতে রয়েছে সৃজনী স্পর্শ। নিমন্ত্রণপত্রের শুরুটা হয়েছে এভাবে- ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ বলার দিন এবার শেষ। নৌকার পালে চোখ রেখে দিন কাটানোর আশায় বিয়েটা করেই নিলাম। তাই আপাতত মিথিলা আর সৃজিত এক রাস্তায় ট্রামলাইন, এক কবিতায় কাপলেট।’

নিমন্ত্রণপত্রে আরও লেখা হয়েছে, ‘পৃথিবীর সব উৎসবের ইতিহাসই আসলে বন্ধুবান্ধবদের খাওয়ানোর ইতিহাস। তাই নতুন আলুর খোসা আর ভালোবাসা দিয়ে ভাত-ডাল মাখার আগে চাই একটা জমজমাট হুল্লোড় আর ভুরিভোজ। ইংলিশ মিডিয়ামে যাকে বলে, ‘রিসেপশন’। তার ব্যবস্থা হয়ে গেছে।’

সবশেষে নিমন্ত্রিতদের আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেয়া: ‘আমাদের খুনসুটি আর ঝগড়াঝাঁটির জীবন আড্ডা দিয়ে জমজমাটি করে তুলতে আসবেন কিন্তু। নমস্কারান্তে- মুখার্জি কমিশন।’

বালাইষাট! ঝগড়াঝাঁটির জীবন কেন হবে? বসন্ত যখন এসেই গেছে তখন ফুল ফুটুকু সৃজিত-মিথিলার ভালোবাসার শাখায় শাখায়।

উল্লেখ‌্য, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুধু কলকাতার সৃজিতের বন্ধুরা নিমন্ত্রিত থাকবেন। বাংলাদেশ থেকে কাউকে নিমন্ত্রণ করা হবে না বলে মিথিলা গণমাধ‌্যমে জানিয়েছেন।