বিনোদন ডেস্ক : পরিচালক বাবা মহেশ ভাটের হাত ধরেই অভিনয় জগতে পা রাখেন তার বড় মেয়ে পূজা। ইতিপূর্বে নিজের মেয়ে সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন পূজার বাবা। অভিনয় জগতে আসার পর একটি ম্যাগাজিনের কাভার শুট করতে গিয়ে কন্যা পূজাকে ঠোঁঠে চুমু খেয়েছিলেন বাবা মহেশ।
শুধু এখানেই নয়, সেই সময় মহেশ ভাট বলেছিলেন— যদি পূজা আমার মেয়ে না হতো, তাহলে আমি ওকেই বিয়ে করতাম।’ এ নিয়ে এখনো নেটিজেনদের কাছ থেকে সমালোচনা শুনতে হয় তাকে।
মহেশ ভাটের সেই চুমুকাণ্ড আর মন্তব্য সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনা শোনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পরিচালক। সম্প্রতি এ চলচ্চিত্র নির্মাতা জুম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি সমালোচনাকে ভয় পান না।
সামাজিকমাধ্যমে তার ও তার সন্তানদের প্রতি ঘৃণা নিয়ে নীরবতার কারণ জানতে চাইলে আলিয়ার বাবা বলেন, ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি লাইন আছে— নিষ্ক্রিয়তাই কর্ম। আমি যখন এই নিয়ে কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন এটাই আমার অ্যাকশন। সুতরাং সেখানে সমালোচনাকারী বা আমার প্রতিপক্ষরা জানে যে, আমি শক্তি থেকে এসেছি— কাপুরুষতা থেকে নয়। আমি ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ কোনো দিনই ছিলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সন্তানদের রক্ষা করার কিছু নেই। রক্ষা করার কী আছে? আমি যেমন নিজের যত্ন নিয়েছি, তেমনি আমার সন্তানরা নিজেরাই নিজেদের যত্ন নেবে। আর যদি প্রয়োজন হয়, আমি একজন ফায়ারওয়াল। তোমাকে আগে আমাকে টপকাতে হবে, ওদের কাছে পৌঁছাতে। বর্তমানে বাস্তব জগতের চেয়ে ভার্চুয়াল জগৎ বেশি মূল্যবান হয়ে উঠছে বলে মনে হয়। তবে আমার কাছে নয়। আমি মনে করি ক্যামেরার সামনে কান্নাকাটি করার থেকে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, ফিল্ডে নেমে কিছু করা।’
আলিয়া ভাট অভিনীত ২০২০ সালের ছবি ‘সড়ক ২’ দিয়ে পরিচালনায় ফিরেছেন মহেশ ভাট। আর পরিচালক হিসেবে ফেরার ইচ্ছে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন সিনেমা বানানোর জন্য তিনি অনেক সেকেলে। নিজেকে ‘বিলুপ্তপ্রায় আগ্নেয়গিরি’ বলে অভিহিত করে মহেশ বলেন, ‘আমি আর পরিচালনা করব না। আমি যেটা সবচেয়ে ভালো করি, সেটা হলো মেন্টরিং করা।’
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম মুফট ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয় মহেশ ভাটকে। সমাজ, রাজনীতি বা ব্যক্তিগত বিষয়, কোনো কিছু নিয়েই নিজের মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করেন না তিনি।
মহেশ মঞ্জিলিন অউর ভি হ্যায় দিয়ে পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। পরে ‘অর্থ’, ‘সারাংশ’, ‘নাম‘, ‘ড্যাডি‘, ‘আশিকি‘, ‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি‘ এবং ‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’ -র মতো সিনেমা দিয়ে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি জখমের জন্য সমালোচকদের প্রশংসাও পেয়েছিলেন।
এ চলচ্চিত্র নির্মাতা পরে রাজ, মার্ডার, জহের, কালযুগ, গ্যাংস্টার, ওহ লামহে, জান্নত, রাজ- দ্য মিস্ট্রি কন্টিনিউস, মার্ডার ২, জান্নাত ২, রাজ ৩ এবং আশিকি ২-এর মতো বাণিজ্যিক হিট সিনেমা প্রযোজনা করেছিলেন। প্রযোজক হিসেবে নির্মাতার শেষ ছবি ছিল বরুণ মিত্র-রিয়া চক্রবর্তী অভিনীত ‘জালেবি’। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।