সেই প্রসূতি নারী ফিরে পেলেন জীবন, জন্ম দিলেন কন্যা সন্তান

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:  রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে উদ্ধার করা সংকটাপন্ন সেই প্রসূতি নারী চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

গত সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলার দুর্গম বগাখালী গ্রাম থেকে জতনি তঞ্চঙ্গ্যাকে (২৩) সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের সহায়তায় চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ আনা হয়।

ওই গ্রামের ঈশ্বরচন্দ্র তংচঙ্গ্যার স্ত্রী জতনি তংচঙ্গ্যা মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কন্যা সন্তান জন্ম দেন বলে সিএমএইচ সূত্র নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ রয়েছেন বলে চিকিৎসকদের বরাদ দিয়ে সূত্রটি জানান।

জানা গেছে, রাঙ্গামাটির ওই গ্রাম শহর থেকে নৌপথে সাত দিনের রাস্তা। সেই গ্রামে চার দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন জতনি। চারদিন ধরে নিজ ঘরে প্রসব বেদনায় ছটফট করছিলেন জিতনি তৎচঙ্গ্যা। পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে ডাকা হয়েছিল ধাত্রী ও ওঝাকে। কিন্তু চার দিন ধরে ধাত্রী বাচ্চা প্রসব করাতে ব্যর্থ হয়।

এদিকে কাছাকাছি কোনো হাসপাতাল না থাকায় এক পর্যায়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না বলেই ধরে নিয়েছিল তার পরিবার।

বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে সোমবার সকালে তাকে বগাখালীর বিজিবির সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এই প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ একই এলাকা থেকে আরও একজন প্রসূতিকে যার নাম সোনাপতি চাকমা, তাকেও সেনাবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সু-চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।