আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর চেষ্টার পরও বাসায় ফিরতে পারেনি মধ্যরাতে বকেয়া বাসা ভাড়ার জন্য বাড়িওয়ালার বের করে দেয়া সেই পরিবারটি।
মালিকের বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পাশাপাশি জোর করে টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
দুই মাসের তাউসিফ, তার জানা নেই করোনার এ কঠিন সময়ে মা-বাবার কোলে থাকা সেও বাসা ছাড়া বকেয়া ভাড়ার জন্য।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদন প্রচারের পর রোববার দুপুরে র্যা বের সহায়তায় দক্ষিণ বাড্ডা মায়ের বাসা থেকে কুলসুল-সেলিম দম্পতিকে নিয়ে আসা হয় কাঠালবাগানের ভাড়া বাসায়।
ভারাটিয়াসহ তালা দেয়া বাসার সামনে ক্যামেরা দেখে ছুটে আসেন আরেক ভুক্তভোগী পরিবার। তাদেরও কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে নিয়েছে ৮০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীর অভিযোগের শেষ নেই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমি ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলাম। আমার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মামলা করেছি বলে হাতে রাখা কাগজ বের করে সাংবাদিকদের দেখান।
দিন গড়িয়ে রাত র্যা ব পুলিশের ৬ ঘণ্টারও বেশি অবস্থানের পরও আসেননি বাড়ির মালিক নুর আক্তার সম্পা। র্যা ব বারবার যোগাযোগ করলেও উল্টো হুমকি দেন তিনি।
র্যা ব ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আরিফিন বলেন, মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলাম। উনি (মানে বাড়িওয়ালা) বেশ কয়েক বার কল কেটে দেয়ার চেষ্টা করেছে। ঔদ্ধত্য আচরণ করেছেন।
নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, যদি কোনো ভাড়াটিয়াকে বাড়িওয়ালা বের করে দেন, তাহলে ভাড়াটিয়াদের পাশে আমরা থাকব। তারা যেন বাসায় অবস্থান করতে পারেন সেটা আমরা নিশ্চিত করব।
পরে তাদের আবারও নিয়ে আসা হয় কলাবাগান থানায়, বাড়ির মালিকের রিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হয় পরিবারটিকে। সব শেষ আবার ফিরতে হলো বাড্ডায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।