জুমবাংলা ডেস্ক : করোনার কারণে লকডাউনে ভাড়ার বাইকচালক হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ হয়ে আলোচনায় এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ রানা। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা। এমনকি আইনজীবীদের মধ্যেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আদালত খোলার পর সেই মাসুদ রানার খবর নিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি হত্যা মামলার আসামির জামিন শুনানি চলছিল। এই মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা। তাকে শুনানিতে দেখে আদালত জানতে চান, মিস্টার মাসুদ আপনি এখনো রাইড শেয়ারিং করেন কি না? তখন মাসুদ রানা বলেন, মাই লর্ড, এখন তো কোর্ট খুলেছে। এখন আর রাইড শেয়ারিং করি না।
মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত আমার বাইক রাইডিংয়ের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। বলেছেন, কোনো কাজই খারাপ বা লজ্জার নয়। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে ১৯ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ মাসুদ রানাকে সতর্ক করেন। আদালত বলেন, ‘এগুলো করবেন না। ভালো হয়ে যান মিস্টার মাসুদ রানা।’
আইনজীবী মাসুদ রানার দুটি মামলায় দুই আসামির জামিনের আবেদন ছিল এই কোর্টে। সকালে মামলা দুটি শুনানি করতে গেলে আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক তাকে দেখে বলেন, ‘মিস্টার মাসুদ আপনি বিখ্যাত হয়ে গেছেন বাইক চালাইয়া। এগুলো করবেন না। আপনি ভালো হয়ে যান।’
পরে আদালত আইনজীবী মাসুদ রানার আবেদন করা দুই মামলায় জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে আদেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।