চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টিএম মোজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দীন নওগাঁয় পালিয়ে যাচ্ছিলেন। চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ একটি অটোরিকশা থেকে তাকে আটক করে। এরপর তাকে শিবগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ মোট চারজনকে আটক করলো পুলিশ। অন্য তিনজন হলেন- মো. তারেক, জাহাঙ্গীর আলম ও মো. আলাউদ্দিন।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতেই থানায় মামলা দায়ের হবে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি টিএম মোজাহিদুল ইসলাম।
ঘটনার শিকার রুবেল জানান, তার চাচাত ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সালামের সঙ্গে নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিনের বিরোধ রয়েছে। শিবগঞ্জ সীমান্তের চরপাকা গরুর খাটাল নিয়ে তাদের বিরোধ। এর জের ধরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার হাত কেটে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে রুবেল, তার দুই বন্ধু রবিউল ও হাবু চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে তাদের আটক করান এবং একটি ঘরে নিয়ে তাদের রাখা হয়।
তাদেরকে ছেড়ে দিতে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন রুবেল। তখন চেয়ারম্যান তাকে চুপচাপ বসে থাকতে বলেন। রাত ২টার দিকে রুবেলকে স্কুলের পেছনে নিয়ে দুই হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন।
তখন চেয়ারম্যানের ক্যাডার হোসেন আলী ও জিয়া নির্দেশ মোতাবেক রুবেলের দুই হাত কব্জি থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে চলে যায়। চিৎকার শুনে বন্ধুরা রুবেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।