বিজ্ঞানীরা এমন দ্রুতগতির ক্যামেরা বানিয়েছেন, যেটিতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে প্রতিটি একক পিক্সেলের ফ্রেমরেট ১৫৬ দশমিক তিন টেরাহার্টজ।
এর মানে, প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৫৬ হাজার তিনশ কোটি ফ্রেম ধারণের সক্ষমতা আছে ক্যামেরাটির। এ গবেষণামূলক ক্যামেরার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোয়েপ্ট-কোডেড অ্যাপারচার রিয়েলটাইম ফেমটোফটোগ্রাফি’, সংক্ষেপে ‘স্কার্ফ।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বৈজ্ঞানিক সেন্সরগুলোতে খুব দ্রুত ঘটে যাওয়া মাইক্রো-ইভেন্ট গবেষণার ক্ষেত্রেও সাফল্য বয়ে আনার সম্ভাবনা রয়েছে নতুন এ ক্যামেরার।
এরইমধ্যে সেমিকন্ডাক্টরের শোষণ প্রক্রিয়া ও ধাতব খাদ বিচুম্বকায়নের মতো ঘটনার ছবি সফলভাবে ধারণ করেছে স্কার্ফ। এমনকি ‘শক ওয়েভ মেকানিক্স’ অথবা আরও কার্যকর ঔষধ তৈরির ক্ষেত্রেও সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে এ গবেষণা।
গবেষণা দলটির নেতৃত্বে ছিলেন কানাডার ‘ইনস্টিটুত নাশিওনাল দে লা রিসের্চে সায়েন্তিফিক (আইএনআরএস)’-এর অধ্যাপক জিনইয়াং লিয়াং। ছয় বছর আগে আলাদা এক গবেষণা চালিয়ে ‘আলট্রাফাস্ট ফটোগ্রাফি’র অগ্রদূত হিসেবে গোটা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
নতুন গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল নেচার-এ। এ ছাড়া, এক প্রেস রিলিজে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণীও প্রকাশ করেছে আইএনআরএস, যা নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন এসেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট ‘সায়েন্স ডেইলি’তে।
লিয়াং ও তার সহযোগীরা গবেষণাটিকে আখ্যা দিয়েছেন ‘আলট্রাফাস্ট ক্যামেরার নতুন যাত্রা’ বলে। সাধারণত এ ধরনের সিস্টেমে অনুক্রমিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, যেখানে আলাদা আলাদা ফ্রেম ধারণ করে পরবর্তীতে সেগুলোকে একত্র করে ধারণকৃত বস্তুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
তবে, এ প্রক্রিয়ায় কয়েকটি সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। “উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, ‘ফেমটোসেকেন্ড লেজার অ্যাবলেশন’, জীবন্ত কোষে ‘শক-ওয়েভ’ পরীক্ষা বা চক্ষুসংক্রান্ত বিভিন্ন ঝুঁকি গবেষণা করা যায় না এতে,” বলেন লিয়াং।
এদিকে, স্কার্ফ-এ গ্রাহকদের চেয়ে গবেষণার দিকে বেশি মনযোগ দেওয়া হলেও এর বাণিজ্যিক সংস্করণ তৈরির উদ্দেশ্যে ‘অ্যাক্সিস ফটোনিক’ ও ‘ফিউ-সাইকেল’ নামের দুটি কোম্পানির সঙ্গে এরইমধ্যে কাজ করছে গবেষণা দলটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।