বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীর সমান ভর গ্রাস করে চলা একটি কৃষ্ণগহ্বরের (ব্ল্যাকহোল) খোঁজ পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি গত ৯০০ কোটি বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা কৃষ্ণগহ্বর। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক দল সম্প্রতি আবিষ্কার করেছে কৃষ্ণগহ্বরটি।
নতুন চিহ্নিত কৃষ্ণগহ্বরটি আমাদের নিজস্ব গ্যালাক্সির সমস্ত আলোর চেয়ে সাত হাজার গুণ বেশি উজ্জ্বল।
প্রধান গবেষক ক্রিস্টোফার ওনকেন এবং সহ-লেখক ক্রিশ্চিয়ান উলফের মতে, এ কারণে একটু ভালো যন্ত্রপাতি থাকা শখের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও তা দেখতে পারবেন। উভয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী এই কৃষ্ণগহ্বরকে বর্ণনা করেছেন ‘খড়ের গাদায় খুব বড়, অপ্রত্যাশিত এক সুঁই’ হিসেবে।
প্রধান গবেষক ক্রিস্টোফার ওনকেনের মতে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এজাতীয় বস্তুর সন্ধান করছেন। বিস্ময়করভাবে এই ‘আশ্চর্যজনক উজ্জ্বল কৃষ্ণগহ্বরটি’ তাদের অলক্ষ্যে রয়ে গেছে।
যে বিষয়টি গবেষকদের কৌতূহলী করে তুলেছে তা হলো, কৃষ্ণগহ্বরটির ভর তিন শ কোটি সূর্যের সমান। অথচ তুলনামূলকভাবে সম-আকারের অন্যগুলোর শত শত কোটি বছর আগেই এত দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
‘এখন আমরা জানতে চাচ্ছি, কেন এটি আলাদা। বিপর্যয়কর কিছু ঘটেছিল কি? হয়তো দুটি বড় গ্যালাক্সি একটি আরেকটির ওপর আছড়ে পড়েছিল। তাতে কৃষ্ণগহ্বরটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য এতে প্রচুর পরিমাণে উপাদান ঢুকে পড়ে’, বলেছেন ওনকেন।
সহ-লেখক, এএনইউ-এর সহকারী অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান উলফের মতে, এ রকম আরেকটি ভিন্নধর্মী কৃষ্ণগহ্বর পাওয়া যাবে না।
কৃষ্ণগহ্বরটি বাড়ির খুব অন্ধকার উঠোন থেকেই একটি ভালো টেলিস্কোপের সাহায্যে যে কেউ দেখতে পারবে। কারণ এর ভিজ্যুয়াল ম্যাগনিচ্যুড ১৪.৫। ভিজ্যুয়াল ম্যাগনিচ্যুড হচ্ছে পৃথিবী থেকে একজন পর্যবেক্ষণকারীর কাছে মহাকাশের কোনো বস্তু কতটা উজ্জ্বল দেখায় তা পরিমাপের মাত্রা।
এ গবেষণার ফলাফল arXiv (উচ্চারণ করা হয় আরকাইভ ) ডাটাবেইসে প্রকাশিত হয়েছে এবং অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব অস্ট্রেলিয়ার প্রকাশনায় জমা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি।
সাগরের ওপর বাতাসে কিছু একটা ভাসছে, নাসার স্যাটেলাইটে ধরা পড়া চিত্র নিয়ে রহস্য
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।