Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home সেনাদের বিচারে মিয়ানমারের আশ্বাসে আস্থার কারণ নেই : গাম্বিয়া
আন্তর্জাতিক

সেনাদের বিচারে মিয়ানমারের আশ্বাসে আস্থার কারণ নেই : গাম্বিয়া

Shamim RezaDecember 12, 20193 Mins Read
Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংস নির্যাতনের জন্য দায়ী সেনাদের বিচার ও সহিংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের উপর আস্থা রাখা যায় না বলে শুনানিতে দাবি করেছে গাম্বিয়া।

বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক শুরু করেছে। শুনানি চলবে ৯০ মিনিট। আদালতের প্রেসিডেন্ট ইউসুফের নেতৃত্বে শুনানি শুরু হয়েছে।

গাম্বিয়ার পক্ষে অধ্যাপক ফিলিপ স্যান্ডস বলেন, গণহত্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মিয়ানমারের আইনজীবী অধ্যাপক সাবাস একটি নতুন আইনগত মান নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছেন, যেটি পরীক্ষিত নয়। কিছু কিছু কার্যক্রম গণহত্যার নির্দেশিকার ধারণা তৈরি করলেও সব কার্যক্রম গণহত্যার ধারণা প্রমাণ করে না এমন দাবি ঠিক নয়।

তিনি আরো বলেন, ১৯৪৮-এর গণহত্যা সনদের বাধ্যবাধকতা পূরণ করছে কিনা সে প্রশ্ন তোলার অধিকার গাম্বিয়ার অবশ্যই রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি অতীতের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সনদের অংশীদার হিসেবে অর্ন্তর্বতী আদেশের আবেদন করার অধিকার গাম্বিয়ার রয়েছে।

গাম্বিয়ার পক্ষে আরেক আইনজীবী পিয়েঁর দ্য আর্জেন ফরাসি ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন। তার বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমারের আইনজীবী স্টকার বলেছেন যে কোনো অপরাধ যদি ঘটেও থাকে তাহলেও গাম্বিয়ার সে বিষয়ে মামলা করার অধিকার নেই। মামলা কূটনৈতিক ব্যবস্থায় তার আপত্তির কথা জানাতে পারে, কিন্তু আদালতে আসতে পারে না। স্টকারের এসব বক্তব্য সঠিক নয়। গাম্বিয়া সনদের স্বাক্ষরকারী হিসেবে সনদ লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনের অধিকার রাখে।

পিয়েঁর দ্য আর্জেন আরো বলেন, গাম্বিয়া ওআইসি মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর মামলা করেছে বলে মিয়ানমারের আইনজীবী স্টকারের দাবি বিভ্রান্তিকর। মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ ওআইসির নয়, গাম্বিয়ার। গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে গণহত্যার কথা বলেননি বলে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে ওআইসির সিদ্ধান্তের পরই গাম্বিয়া মামলা করেছে—কথাটি ঠিক নয়। গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে বক্তব্য দেওয়ার পর জাতিসংঘ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে এবং সেই রিপোর্টের তথ্যের ভিত্তিতেই গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে গাম্বিয়া আদালতে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে বুধবার শুনানির দ্বিতীয় দিনে আদালতে নিজেদের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। রাখাইনে কোনো গণহত্যা হয়নি বলে সাফাই গান তিনি।

একইসঙ্গে আদালতে মিথ্যাচার করে সু চি বলেন, রাখাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার পরই, বিচ্ছিন্নতাবাদ দমাতে অভিযান চালানো হয়, এর জেরে কিছু রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে।

মিয়ানমারের নেত্রী বলেন, ‘যদি দেশের অভ্যন্তরে গণহত্যার উদ্দেশ্যে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে তবে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত সেনা সদস্য, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর বাইরে আমি এ বিষয়েও নিশ্চিত করছি যে, আমাদের সবার নজর সেনা সদস্যদের দিকে। একইসঙ্গে অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বক্তব্যে একবারের জন্যও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ না করে সু চি বলেন, ‘রাখাইনে সেনা অভিযানে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ হয়ত উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে তার পেছনে যে গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল- এমন ধরে নেয়াটাও মিয়ানমারের জটিল বাস্তবতায় ঠিক হবে না।’

মঙ্গলবার শুনানির শুরুর দিনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যায় নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে মামলার বাদী গাম্বিয়া।

গাম্বিয়ার আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু বলেন, ‘মিয়ানমার এখনও গণহত্যাপ্রবণ এবং এই বর্বরতা চালিয়ে যেতে চায়। রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনা হঠাৎ করে সংঘটিত হয়নি। বরং একটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফসল। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের দীর্ঘদিন ধরেই বাঙালি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় রাখাইনে সুনির্দিষ্ট অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের অনুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মিয়ানমার রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যা চালিয়েছে।’

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা চৌকিতে কথিত হামলার অজুহাত দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় উগ্র বৌদ্ধরা। রোহিঙ্গাদের ওপর কাঠামোবদ্ধ যে সহিংসতা ও বর্বরতা চালানো হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করেছে মিয়ানমার। আর এই অভিযোগেই ওআইসির সহায়তায় মিয়ানমারকে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে এনেছে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
আন্তর্জাতিক আশ্বাসে আস্থার কারণ গাম্বিয়া নেই: বিচারে মিয়ানমারের সেনাদের
Related Posts
Warren-Buffett

অর্থকষ্ট থেকে মুক্তি চাইলে নতুন ওয়ারেন বাফেটের চিহ্নিত ৫ খরচের খাত

December 21, 2025
BD

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হুমকি

December 21, 2025
ব্রিটিশ মা

অতিরিক্ত স্তন্য উৎপাদন, ১০ লিটার দুধ দান করেন ব্রিটিশ মা

December 21, 2025
Latest News
Warren-Buffett

অর্থকষ্ট থেকে মুক্তি চাইলে নতুন ওয়ারেন বাফেটের চিহ্নিত ৫ খরচের খাত

BD

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হুমকি

ব্রিটিশ মা

অতিরিক্ত স্তন্য উৎপাদন, ১০ লিটার দুধ দান করেন ব্রিটিশ মা

সম্পদ অর্জনে নতুন মাইলফলক

ইতিহাস গড়লেন ইলন মাস্ক, সম্পদের অঙ্ক ছুঁল ৭৪৯ বিলিয়ন ডলার

৭টি হাতির মৃত্যু

আসামে ট্রেনের ধাক্কায় শাবকসহ ৭ হাতির মৃত্যু

আমিরাতে দেখা গেল পবিত্র রজবের চাঁদ

আরবে দেখা গেছে রজবের চাঁদ, শুরু রমজানের ক্ষণগণনা

ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের কারাদণ্ড

আরেক দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের কারাদণ্ড

moon

মধ্যপ্রাচ্যে দেখা গেল রজবের চাঁদ, দুই মাস পর রমজান

Hadi

শহীদ হাদির মৃত্যুতে যা বলল কমনওয়েলথ

Amirat

গোপনে ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাতের চুক্তি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.