আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগত সেভেরোদোনেস্ক শহরের শতকরা ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়ার সেনারা। পুরো দোনবাস এলাকার নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে চলে যাওয়ার জন্য একে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের মূল্যবান অর্জন। খবর পার্সটুডে’র।
লুহানস্কের গভর্নর সেরগি গাইদে সেভেরোদোনেস্ক শহরের শতকরা ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ রুশ বাহিনীর হাতে চলে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের সেনা এবং রুশপন্থী গেরিলাদের মধ্যে পুরো দোনবাস এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য সংঘর্ষ চলে আসছে। রুশপন্থী গেরিলারা ২০১৪ সালেই দোনেস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে দুটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। তবে পশ্চিমা সমর্থিত ইউক্রেন সরকার তা কখনো মেনে নেয় নি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে দোনবাস ও লুহানস্ক অঞ্চলকে দুটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং তাদেরকে ইউক্রেন থেকে রক্ষা করার জন্য রাশিয়ার কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। নতুন প্রজাতন্ত্র দুটির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এবং ইউক্রেনকে নাজিবাদ মুক্ত করতে রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের ভেতরে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে। রশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সে সময় পরিষ্কার করে বলেছিলেন, দোনবাস ও লুহানস্ক অঞ্চলের যেসব মানুষ গত আট বছর ধরে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে এবং ইউক্রেন সরকারের অত্যাচারের শিকার হয়েছে তাদের মুক্তির জন্য এই সামরিক অভিযান শুরু হলো।
এদিকে, রুশ বাহিনী সেভেরোদোনেস্ক শহরের বেশিরভাগ এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার পর ওই অঞ্চলে লড়াইরত ইউক্রেনের সেনারা সেখানকার শিল্প অঞ্চল আজত রাসায়নিক স্থাপনায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে কয়েকশ বেসামরিক লোকজন আশ্রয় নিয়েছে বলেও লুহানকের মেয়র দাবি করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া গতকাল (মঙ্গলবার) জানিয়েছে যে, আজত রাসায়নিক স্থাপনা থেকে বেসামরিক লোকজনের চলে যাওয়ার জন্য একটি মানবিক করিডোর খুলবে রুশ সেনারা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেসামরিক লোকজনকে লুহানস্ক এলাকায় সরিয়ে নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।