স্পোর্টস ডেস্ক : জিতলে ফাইনালে হারলে বিদায়। দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হাল ধরতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি ছয় বলে মাত্র ১ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের গতির বলে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে ভারতের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫ রানে টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায় ভারত।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এর আগেও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৯ রান করে আউট হয়েছিলেন কোহলি। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১ রানে আউট হয়েছিলেন ভারতের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও সেই এক রানেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হন কোহলি।
বুধবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে বৃষ্টি বিঘ্নিত সেমিফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪০ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৪ রানে ম্যাট হেনরির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত শর্মা। আগের তিন ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি করা রোহিত এদিন ফেরেন চার বলে মাত্র ১ রান করে।
রোহিত শর্মার বিদায়ের পর উইকেটে নেমে ৬ বল খেলার সুযোগ পান বিরাট কোহলি। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান ট্রেন্ট বোল্টের গতির বলে এলবিডব্লিউ হন। রিভিও নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি তিনি। কোহলি ফেরেন মাত্র ১ রান করে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ম্যাট হেনরির বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। তিনিও করেন মাত্র এক রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান এভাবে ১ রান করে আউট হওয়ার রেকর্ডও এবারই প্রথম।
মাত্র ৫ রানে ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় কোহলিরা। দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ের ম্যাচে হাল ধরবেন বলে দিনেশ কার্তিকের প্রতি ভরসা করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। দলের এই দুঃসময়ে তিনিও নিজে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেননি।
ম্যাট হেনরির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জেমস নিশামের বাঁ-হাতের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন কার্তিক। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় ভারত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।