আবু সৈয়দ (সাঈদ), বেরোবি : জন্মগত সেরিব্রাল পার্সি রোগও দমিয়ে রাখাতে পারেনি অদম্য সুয়াদকে। মো. আব্দুল্লাহ সুয়াদ জন্মগভাবে সেরিব্রাল পার্সি রোগে আক্রান্ত। ফলে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না সুয়াদ। কিন্তু তার অদম্য ইচ্ছা শক্তি কাছে হেরে গেল সেরিব্রাল পার্সি রোগ। তার এই ইচ্ছা শক্তি জন্মগতভাবে সেরিব্রাল পার্সি রোগে আক্রান্ত বিকলাঙ্গ দেহকে ঘরবন্দী থাকতে দেয়নি।
স্কুল কলেজের চ্যালেঞ্জ জয় করে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অংশ নিয়েছেন তিনি । শুক্রবার (৩ মে) ’বি ইউনিট’ এর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিতে হুইল চেয়ারে করে বাবা- মায়ের সাহায্যে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছেন অদম্য তরুণ সুয়াদ। তার ইচ্ছে সে দেশের যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা সাহিত্যে পড়াশোনা করবেন এবং পড়াশোনা শেষ করে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন।
এই অদম্য তরুণ মো. আব্দুলাহ সুয়াদ এর জন্ম রংপুর নগরীর নীলকন্ঠ সোটাপির এলাকায়। মুশফিকুর রহমান ও শিরিন রহমান দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান সুয়াদ। শ্রুতি লেখক এর সাহায্যে এই অদম্য তরুণ রংপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এসএসসি এবং বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দেন। কোন ধরনের টিউশন বা কোচিংয়ের সাহায্য ছাড়াই এসএসসিতে জিপিএ ৪.২৫ ও এইচএসসি তে জিপিএ ৪.৭৫ পেয়ে উত্তীর্ণহয়েছেন সুয়াদ।
সুয়াদের বাবা জানান, তার ইচ্ছে শক্তি অনেক বেশি যার কারণে আজ সে এখানে আসতে পেরেছে। সে অনেক ভালো কম্পিউটারে কাজ জানে। আমরা আশাবাদী উন্নত চিকিৎসা পেলে স্বাভাবিক জীবনে চলাফেরা করতে পারবে।
সুয়াদের মা বলেন, সবসময় ওর পাশে থাকার চেষ্টা করি। কোন প্রয়োজনে কমতি রাখিনা। সুয়াদের বাবা জানান, শ্রুতি লেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাটা অনেক চ্যালেঞ্জের। শ্রুতি লেখক নিয়োগের প্রক্রিয়াও অনেক জটিল, তবে ছেলের অদম্য ইচ্ছা শক্তির জন্যই এসব কাজে কখনো ক্লান্তি অনুভব করেননি।
সুয়াদের বাবা আরও বলেন, তার ছেলে যেনো উচ্চ শিক্ষিত হয়ে দেশের কাজে অবদান রাখতে পারে।
সুয়াদ বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষা শুধুমাত্র গুচ্ছতেই অংশগ্রহণ করলাম। পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আমার খুব ইচ্ছা করে স্বাভাবিকভাবে সুস্থ মানুষের মতো চলাফেরা করতে। আমি কারোর বোঝা হয়ে থাকতে চাইনা। পড়াশোনার পাশাপাশি ফাইবারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ করি।
উল্লেখ্য যে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩২৬২ জন অংশগ্রহণ করে।
একাত্তরে যু দ্ধে হারিয়ে ফেলা ২ মেয়েকে খুঁজে পেলেন পাকিস্তানি মা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।