আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাতে স্মার্টফোন থাকা মানেই যেনো বিশেষ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে রাখা। যা সেলফি হিসেবে পরচিতি পেয়েছে। বেশিমাত্রায় সেলফি তোলার প্রবণতা অনেককে বিপদেও ঠেলে দিয়েছে। এমন খবর মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। তবে একটি ব্যতিক্রম ঘটনাও আছে। সেলফি তোলার শখে কোটিপতি বনে গেছেন ইন্দোনেশিয়ার জাভার বাসিন্দা তরুণ সুলতান গুস্তাফ আল ঘোজালি।
জানা গেছে, ২২ বছর বয়সী ঘোজালি সেলফি তোলার কারণে এখন ভাইরাল। তিনি গত পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন একটি করে সেলফি তুলেছেন। ভিডিও করার আগে নিজেকে দেখার জন্যই তিনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সেলফি তুলতেন। কিন্তু তিনি জানতেন না, এই শখই তাকে একদিন কোটিপতি বানিয়ে দেবে। পাঁচ বছর পর এখন তার সেলফিগুলো লাখ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলত সেলফিগুলোকে এনএফটিতে রূপান্তরিত করার পর সেগুলো বিক্রি করে কোটিপতি বনে গেছেন তিনি।
ঘোজালি জানান, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি তার কম্পিউটারের সামনে বসে প্রতিদিন তার ছবি তুলতেন। ঘোজালি তার সেলফি বিক্রি করতে শুরু করেন এ বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে। মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে সেলফি বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে যান তিনি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘোজালি তার এক হাজারের মতো ছবির প্রতিটির মূল্য মাত্র ০.০০০০১ ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথার (তিন ডলার) নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তার ছবি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর তার ছবির দাম হু হু করে বেড়ে যায়।
ঘোজালি নিজেই বলেন, বিশ্বাস করতে পারছি না, আমার ছবি মানুষ এত দাম দিয়ে কিনছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, কোনো সংগ্রাহক আমার সেলফি সংগ্রহ করলে সেটা মজার একটা জিনিস হবে। তারপরও আমি কখনই ভাবিনি, কেউ আমার সেলফি কিনতে চাইবে, তাই আমি সেগুলোর দাম মাত্র তিন ডলার রাখি। কিন্তু পরের দিন চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পর একেকটি সেলফি থেকে ০.২৪৭ ইথার (৮০৬ ডলার) দাম পাওয়া যায়।
মাত্র পাঁচ দিনে চার শতাধিক মানুষ তার অভিব্যক্তিহীন ছবির মালিকানা কিনেছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ঘোজালির সেলফি বাবদ মোট আয়ের পরিমাণ ১০ লাখ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তবে ঘোজালি বলেন, সত্যি বলতে আমি এখনও আমার বাবা-মাকে বলার সাহস পাইনি। তারা ভাবছে আমি কোথা থেকে টাকা পেলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।