প্রথমে ডিভোর্সি পুরুষদের টার্গেট করতেন। এরপর দেখাতেন একের পর এক সুন্দরী পাত্রী। পছন্দ হয়ে গেলে পাত্রীর পরিবর্তে দিতেন নিজের স্ত্রীর মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরে চলতো দিনের পর দিন প্রেমালাপ। একপর্যায়ে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা।
এভাবেই স্ত্রী সেলিনাকে দিয়ে কাজ করাতেন স্বামী ওকার। সেলিনাও ডিভোর্সি পুরুষদের সঙ্গে মুঠোফোনে হাসিমুখে কথা বলতেন। টাকা হাতিয়ে নেয়া পর্যন্ত করতেন প্রেমের অভিনয়। স্ত্রীর এ কাজে সহযোগিতা করতেন ওকার।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রবাস ফেরত ডিভোর্সি এক যুবককে পাত্রী দেখাতে গিয়ে ফেঁসে যান এ দম্পতি। এরপর মামলা হলে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার রাতে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওকার একই এলাকার মাওলানা মো. হারুনের ছেলে। তার স্ত্রীর পুরো নাম সেলিনা আকতার শিরিন।
পুলিশ জানায়, ওকার-সেলিনা দম্পতির পাতা ফাঁদে পা দেন প্রবাস ফেরত মো. আজিজ। একাধিক পাত্রী দেখানোর পর একজনকে পছন্দ হয় তার। কিন্তু পাত্রীর মোবাইল নম্বর চাইলে দেয়া হয় সেলিনার নম্বর। পরে পাত্রী সেজে কথা বলে তার কাছ থেকে কয়েক ধাপে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৭৩০ টাকা হাতিয়ে নেন সেলিনা। তবে দেখা করার কথা বললে দিতেন বিভিন্ন অজুহাত। পরে প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে আদালতে মামলা করেন আজিজ।
রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও চারটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। চক্রটির সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।