নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর এলাকায় গত ১ জুলাই বৃদ্ধা ছামছুন নেহার (৬৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শামীম বেগকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও চুরি করে নিয়ে যাওয়া একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শহরের চাঁদনগর এলাকার মৃত. নঈম বেগের ছেলে। এর আগে তিনি একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে গত ২০২০ সালে জেল থেকে বের হন।
গত শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার ওসি মো. ফইম উদ্দিন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুলাই তুলশীরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রহিলা পারভীনের চাঁদনগর এলাকার বাসায় বৃদ্ধা ছামছুন নেহারকে পরিকল্পিতভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরদিন গত ২ জুলাই হত্যা শিকার বৃদ্ধার ছেলে সামসুল হক (৪৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর এ মামলাটি তদন্তভার দেওয়া হয় সৈয়দপুর থানার এসআই মো. মেহেদী হাসান খান মারুফকে।
এ ছাড়াও নীলফামারী পুলিশ সুপারের নির্দেশে বৃদ্ধা ছামসছুন নেহার হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের অধিকতর তদন্তে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম ওহিদুন্নবীর নেতৃত্বে এই তদন্ত টিমে ছিলেন থানার ওসি মো. ফইম উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কুমার ও এসআই।
সূত্র জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সনাক্তের পর বৃদ্ধা ছামছুন নেহার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে গত ২০ জুলাই শামীম বেগকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বৃদ্ধা ছামছুন নেহার হত্যার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নীলফামারী আদালতে সোপর্দ করে দুই দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সৈয়দপুর থানার এসআই মো. মেহেদী হাসান খান মারুফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে গত ২৪ জুলাই দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে ছামছুন নেহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেন শামীম বেগ। তার স্বীকারোক্তি ও তার দেওয়া তথ্য মতে সৈয়দপুর শহরে গোলাহাট এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া এলইডি টিভি ও ল্যাপটপটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সৈয়দপুর থানার ওসি মো. ফইম উদ্দিন বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের মামলাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করি। এর ফলে দ্রুততম সময়ে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য এবং এতে জড়িত তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।