এম আর মহসিন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের যেন হিড়িক পড়েছে। রেলভূমিতে উচ্ছেদ অভিযান অজানা কারণে স্থগিত। এই সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ দখলদাররা।
প্রতিনিয়িত সৈয়দপুর শহরের নানা স্থানের রেলকলোনিকে মার্কেট বানানো হচ্ছে। এতে সরকারের রেলওয়ের জমিগুলো হাত ছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ সড়কের রেল কলোনিতে কোয়াটার ভেঙে পুরোদমে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। সহসা বোঝাই যাবে না এক সময় এটি রেল শ্রমিকদের কলোনি ছিল। রাতারাতি সেখানে বসতির কলোনি বাজারে রুপ নিয়েছে। রেলওয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও সরকার দলীয় প্রভাবশালী কিছু রাজনৈতিক নেতার মদদে এসব নির্মাণ কর্মকাণ্ড হচ্ছে। রাতারাতি ওই কলোনিতে শতাধিক দোকান ঘর নির্মাণ করে বর্গফুট প্রতি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এতে দখলদাররা রাতরাতি বটগাছে পরিণত হয়েছে। এমনকি সৈয়দপুর শহরের পাড়া মহল্লায় বাংলোর জায়গাও দখলদারদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
গার্ডপাড়ার রেল হাসপাতালের প্রধান সহকারী সেগুপ্তা বাহার শবনাম ওই এলাকার বাংলোর প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট আয়তনের জায়গা দখল করে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি জানান, এটি আমার ছেলের নামে রয়েছে। যা রেলওয়ের ভূ-সম্পদ বিভাগ থেকে বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত তিনি কোনও কাগজপত্র দেখাতে রাজি হননি।
পিছিয়ে নেই, বিএনপি নেতারাও। গার্ডপাড়া এলাকার বিএনপি নেতা মো. শাহিনের দখলে রয়েছে একাধিক রেল কোয়াটার। ইতোমধ্যে তার দখলকৃত রেল কোয়াটারগুলো তিনি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। দখলে থাকা শহিদ জিয়া স্কুলের প্রধান ফটক সংলগ্ন জহুরুল হক সড়কের দুটি কোয়াটার ১২ লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর এ দুটি কোয়াটার কিনেছেন শহরের বিচালিপট্টি সড়কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন। কোয়াটার ভেঙে সেখানে এখন ওই ব্যবসায়ী গোডাউন করেছেন।
ওই ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা শাহিনের কাছে কেনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি এখন রেলওয়ের কাছ থেকে বরাদ্দও নিয়েছি।
এ নিয়ে বিএনপি নেতা শাহিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই জায়গা আমি না, আমার বড় ভাই রেয়াজ বাবু বিক্রি করেছেন।
রেলওয়ের কোয়াটার ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর রেলওয়ের পূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল ইসলাম জুমবাংলাকে জানান, এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।