Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home সোনার বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে
জাতীয় স্লাইডার

সোনার বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কAugust 17, 20216 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করে বলেছেন, এর মাধ্যমেই আমাদের তাঁর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে আমাদের রক্ত ঋণে আবদ্ধ করে গেছেন। আমাদেরও একটাই লক্ষ্য তাঁর এই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত আলোচনা সভায় পূর্ব ধারণকৃত এক ভিডিও বার্তায় এই কথা বলেন। ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যেতে পারে না। আমাদের একটাই লক্ষ্য তাঁর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে সেই আদর্শ নিয়েই আমাদের পথচলা।

তিনি বলেন, আমি সব হারিয়েছি। আমি জানি হারানোর বেদনা খুব কষ্টকর। সেই কষ্ট সহ্য করে একটা লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। সেই শোককে শক্তিতে পরিনত করে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই লক্ষ্য। ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশকে জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলবো। যে দেশের স্বপ্ন আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন ইনশাল্লাহ বাস্তবায়িত হবে।

’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এবং ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তাঁদের তিন সন্তান এবং দুই পুত্রবধু, বঙ্গবন্ধুর অনুজ ও ভগ্নিপতি এবং সামরিক সচিব বিগ্রেডিয়ার জামিলসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

প্রধানমন্ত্রী ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, জাতীয় শোক দিবস আমাদের জন্য শোকের দিন, কষ্টের দিন। কিন্তু বাঙালি জাতির জন্য সব হারানোর দিন।

তিনি অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে যারা শাহাদৎবরণ করেছেন তাদের আতœার মাগফেরাত কামনা করেন ও দেশবাসীর কাছে তাদের জন্য দোয়া চান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং সম্ভ্রমহারা দু’লাখ মা-বোনকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

আজীবন শোষণ-বঞ্চণার শিকার এ দেশের নিরন্ন দুঃখী জনগণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শোষণ-বঞ্চণা, নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার তাদের মুক্তির জন্যই জাতির পিতা তাঁর জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন। পরাধীনতার নাগপাশ থেকে বাংলার মানুষকে মুক্তি দিয়ে একটা উন্নত জীবন যাতে তারা পায় সেটাই জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ছিল।

তিনি চেয়েছিলেন এ দেশের ক্ষুধার্ত বুভূক্ষ নর-নারী, যাদের পরনে ছিন্ন কাপড়, যারা শিক্ষার আলো ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত তাদের জীবনটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা। তাই, নিজের জীবনটাকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের কল্যাণের জন্য, তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। ক্ষুধা-দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়ে বাঙ্গালী জাতি যেন বিশ^ দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। কিন্তু, জাতির পিতা নিজের জীবনে কিছুই চাননি, বলেন তিনি।

বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে জাতির পিতার জীবনের একটি বড় অংশ কারাগারে থাকার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা জীবনের সব থেকে মুল্যবান সময়টাই কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। তাঁকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়, ফাঁসি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে হয়রানি করা হয়। কিন্তু, সেই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে যে হয়রানি করা হয়েছে বা এতবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে তবুও তিনি তাঁর আদর্শ থেকে এতটুকু বিচ্যুত হননি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মানুষের মুক্তি অর্জনের জন্য তিনি সংগ্রাম করে গেছেন এবং তাঁরই ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা, আত্মপরিচয়, মর্যাদা, একটি ভুখন্ড ও একটি দেশ পেয়েছে।

জাতির পিতার ৪৪ মাসের শাসনকালে যুদ্ধ বিধ্বস্থ বাংলাদেশকে পূণর্গঠনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছওে তিনি একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশকে গড়ে তুলছিলেন। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশকে গড়ে তোলার পাশাপাশি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সফলভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন সেটা যদি বাস্তবায়ন করে যেতে পারতেন তাহলে বাংলার মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়ে উন্নত জীবন পেতে পারতো। কিন্তু ঘাতকের দল সেটা হতে দেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতা চায়নি, বাঙালির বিজয় চায়নি তারাই নির্মমভাবে তাঁকে হত্যা করে এবং কিছু লোকতো বেইমানীও করে, মুনাফেকী করে-এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সব থেকে দুর্ভাগ্যের।

তিনি বলেন, তিনি এবং তাঁর ছোট বোন (শেখ রেহানা) বিদেশে থাকায় ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক অধ্যায় থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও এদেশে ফিরে আসার অধিকার হারান।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আসতে (দেশে) দেয়নি। পরবাসে জীবন কাটাতে হয়েছিল রিফিউজ্যি হিসেবে, নিজেদের পরিচয়ও পরিবর্তন করে।

১৯৮১ সালে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর একরকম জোর করে দেশের ফিরে আসার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৮১ সালে দেশে ফিরে আসার সুযোগ পেয়েছিলাম। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েকে রেহানার কাছে রেখে আমি চলে আসি বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, ফিরে আসি একটাই লক্ষ্য নিয়ে-যে আদর্শের জন্য আমার বাবা সংগ্রাম করে গেছেন। যে দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জাতির পিতা রক্ত দিয়ে গেছেন। রক্ত দিয়ে গেছেন আমার মা’ আমার ভাইয়েরা, লাখো শহিদ রক্ত দিয়েছেন। সেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর সংগ্রাম করে যখন সরকার গঠনের সুযোগ পেলাম তারপর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমি জাতির পিতার আদর্শই অনুসরণ করেছি। যে বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রেখে গিয়েছিলেন আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২শ’ ২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশে^ একটা মর্যাদা পেয়েছে। দারিদ্রের হার আমরা হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি, ৪৫ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মানুষের গড় আয়ু আজকে ৭২ বছরে উন্নীত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় মুজিববর্ষে দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীনকে ঘর-বাড়ি করার মাধ্যমে ঠিকানা গড়ে দেওয়ায় তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচেছ এদেশের একটি মানুষও আর দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত থাকবে না এবং একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতা ’গুচ্ছগ্রাম’ কর্মসূচির মাধ্যমে খাসজমি বিতরণ এবং দরিদ্র জনগণকে ঘর তৈরী করে দেয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন- আমরা তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বাংলাদেশে আর একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। কাজেই আমরা গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছি।

তাঁর সরকারের চিকিৎসা সেবা মানুষের দোড়গোঁড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং প্রায় ৭৪ শতাংশ মানুষের সাক্ষরতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশে^ উন্নয়নের বিস্ময়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান (ইউজিসি) অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।-বাসস

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
High Commission

বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ঘটনার যে ব্যাখ্যা দিলো ভারত

December 21, 2025
এনবিআর চেয়ারম্যান

ই-রিটার্ন ব্যবস্থায় যুক্ত হবে ব্যাংকিং তথ্য : এনবিআর চেয়ারম্যান

December 21, 2025
Cold

শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে বড় দুঃসংবাদ

December 21, 2025
Latest News
High Commission

বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ঘটনার যে ব্যাখ্যা দিলো ভারত

এনবিআর চেয়ারম্যান

ই-রিটার্ন ব্যবস্থায় যুক্ত হবে ব্যাংকিং তথ্য : এনবিআর চেয়ারম্যান

Cold

শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে বড় দুঃসংবাদ

মা‌র্কিন নাগ‌রিক

তারেক রহমানের ফেরার দিনে মা‌র্কিন নাগ‌রিকদের জন্য দূতাবাসের নির্দেশনা

rafikul

হাদির হত্যাকারী দেশের বাইরে চলে গেছে, এমন তথ্য নেই : পুলিশ

Osman Hadi

ওসমান হাদি হত্যা : নতুন যে তথ্য দিলেন ডিবি প্রধান

সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

‎জমি ভরাটে বাধা, চাদা না দিলে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

touhid hossain

বিক্ষোভকারীরা ভেতরে এলো কিভাবে, দিল্লিকে প্রশ্ন ঢাকার

বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া

বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া দ্বন্দ্ব : যেসব ভুলে পড়তে পারেন বিপদে

ইসি

ভোটের দিন অপরাধ দমনে নতুন কৌশল নিচ্ছে ইসি

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.