দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৭১ হাজার ৫৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৬ হাজার ১৬০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সবশেষ সমন্বয় করা দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বিজ্ঞপ্তি বাজুস জানিয়েছিল, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে সবশেষ গত ২৩ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল গত ২৪ জুলাই থেকে।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।
চলতি বছরে মোট ৪৫ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৯ বার, আর কমেছে মাত্র ১৬ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
উল্লেখ্য, স্বর্ণ ও রৌপের বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত নূন্যতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। (গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরীর তারতম্য হতে পারে) তাই যে কোনো জিনিস বানানোর আগে কত টাকা লাগবে তা জেনে নেওয়া আবশক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।