নিজস্ব প্রতিবেদক: নবনিযুক্ত ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল আগামী সোমবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রথম অফিস করবেন।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর জামালপুর-২ আসনের এই সাংসদকে বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জানা গেছে, বুধবারই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু দফতর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ফরিদুল হক খান স্বাভাবিকভাবেই সচিবালয়ে আসেননি।
দফতর দেয়া না হলেও সবাই মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়েরই দায়িত্ব পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ফরিদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানান, প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাবেন। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করবেন। এরপর দুপুর আড়াইটায় গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়ায় প্রয়াত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করবেন। এরপর তিনি ঢাকায় ফিরবেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী রবিবার (২৯ নভেম্বর) ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলাম একটি অনুষ্ঠানে দিনাজপুর থাকবেন। তাই ওইদিন তিনি অফিসে যোগ দিতে পারছেন না। পরদিন প্রতিমন্ত্রী প্রথম অফিসে আসবেন।
ফরিদুল হক খান আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত জামালপুর জেলার ইসলামপুরের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফরিদুল হক।
ফরিদুল হক ১৯৫৬ সালের ২ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার উত্তর সিরাজাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. হবিবর রহমান খান ও মাতার নাম মোসাম্মৎ ফাতেমা খানম।
ফরিদুল হক খান দশম সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমান একাদশ সংসদেও একই পদে রয়েছেন।
গত ১৩ জুন রাতে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ মারা যান। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ আসে।
কোনো মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী না থাকলে সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সে অনুযায়ী মো. আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর ধর্ম মন্ত্রণালয়ও প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।