আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের সেনা জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার নেপথ্য কারিগর ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কর্মকর্তা মাইকেল অ্যান্ড্রু। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আফগানিস্তানে তালিবানের হাতে নিহত হয়েছেন তিনি। মাইকেল অ্যান্ড্রু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ডাক নাম আয়াতুল্লা মাইক।
তিনি বিয়ে করেন এক মুসলিম নারীকে। তার স্ত্রী ফরিদা মরিশাসের নাগরিক। ফরিদার পূর্বপুরুষরা ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা। মাইকেল অ্যান্ড্রু যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বড় হন। ১৯৭৯ সালে সিআইএতে যোগ দেন অ্যান্ড্রু। ২০১৭ সালে তাকে সিআইএ’র ইরান-ইরাক-আফগান বিষয়ক মিশন সেন্টারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
ডেইলি মিরর জানায়, ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করা ও তাকে হত্যার অভিযান পরিচালনারও নেপথ্যেও ছিলেন মাইকেল অ্যান্ড্রু। অ্যান্ড্রুর পরিকল্পনায় পাকিস্তান ও ইয়েমেনে অন্তত ১০০ ড্রোন হামলা চালানো হয়। দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি মিশরের কায়রোতে এবং ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে প্রধান স্টেশন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।
অ্যান্ড্রু ২০০৬ সালে সিআইয়ের কাউন্টার টের’রিজমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইএফপি নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পেছনে ছিলেন মাইকেল ডি. অ্যান্ড্রু। মধ্যপ্রাচ্যে সিআইএ-র চেনা মুখ ছিলেন মাইকেল। কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার আগে ইরাকে অন্তত তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে তার নির্দেশে হত্যা করা হয় বলে জানায় তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।