ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম মেটার অধীনে পরিচালিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠান সহ টিকটক সামাজিক মাধ্যমে যে অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করত সেখান থেকে আস্তে আস্তে সরে আসছে। করোনা মহামারীর পর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া সহ নানা কারণে সামাজিক বা অনলাইন বাণিজ্য নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
মহামারীর কারণে অনলাইনে বিক্রি বেড়ে যাওয়ার পর মেটা এবং টিকটক এখানে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তারা যে এখন সম্পূর্ণ ইউ টার্ন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমের বাণিজ্য থেকে পুরোপুরি সরে আসবে বিষয়টি সেটাও নয়।
সম্ভবত অনলাইন বিজনেস বা সামাজিক মাধ্যমের ব্যবসা-বাণিজ্যের একটা নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণের সময় এসেছে। কেননা প্রথাগত পদ্ধতিতে যে বাণিজ্য এতদিন চলমান রয়েছে সেখান থেকে এখন ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে চাইছে মেটা এবং টিকটক এর মত প্রতিষ্ঠান।
মেটা জানিয়েছে পরবর্তী মাসে তারা ফেসবুকের লাইভ কমার্স অপশনটি বন্ধ করে দিবে। ইন্সটাগ্রাম আগস্ট মাসে অ্যাফিলিয়েট কমার্স প্রোগ্রাম সমাপ্ত করেছে।
ই-কমার্স প্লাটফর্মের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে মেটা হয়তো নতুন একটি উপায় নির্ধারণ করবে। টিকটক সামাজিক বাণিজ্য থেকে পুরোপুরি সরে না আসলেও তারা বিজ্ঞাপনের জন্য নতুন তিনটি ফরম্যাটের কথা ভাবছে।
টিকটক চাচ্ছে বিপণনকারীদের জন্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যবসার প্রক্রিয়া যেন আরো সহজ হয়। সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানসমূহ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে ব্যবসা করার পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
এখানে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে মূল্যস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্যের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশের মানুষ সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় কোন পণ্য নির্বাচন করা এবং তা ক্রয় করা কারো পক্ষে সহজ নয়। এমনকি এসব প্ল্যাটফর্ম বিপণনকারীদের জন্য প্রক্রিয়াটি সহজ করেনি। উল্টো আরো অনেক ক্ষেত্রে ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছে বড় বড় সামাজিক মাধ্যম যদি বর্তমানে সোশাল কমার্স যেভাবে চলছে সেখান থেকে বের হয়ে নয়া ইনোভেশন নিয়ে আসতে পারে তাহলে সেটা সবার জন্যই মঙ্গল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।