আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাপানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দারুণ ভাইরাল হয়েছে ‘ডায়নোসর বেঞ্চ’। দেশটির ফুকুই প্রাদেশিক সরকারের সদর দপ্তরের সামনে ডায়নোসরের অবয়বযুক্ত এই বেঞ্চগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তা ইয়ুসুকে তেরাই জাপানের দ্য মাইনিচি পত্রিকাকে বলেন, সামনে থেকে দেখলে বেঞ্চগুলোকে বিশেষত্বহীন বলেই মনে হয়। কিন্তু আপনি যখন বেঞ্চগুলোকে পাশ থেকে দেখবেন তখন সেখানে পরিস্কারভাবে ডায়নোসরের কার্টুনিস্ট অবয়ব দেখতে পাবেন।
ইয়ুসুকে তেরাই টুইটারে (বর্তমানে এক্স) ডায়নোসরের অবয়বযুক্ত বেঞ্চগুলোর ছবি পোস্ট করলে সেটি নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। গত ৭ আগস্ট পর্যন্ত তাঁর পোস্ট করা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখ ভিউ হয়েছে। টেরাই জানান, কখনো কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর পোস্ট ১ হাজার লাইক পর্যন্ত পেয়ে থাকে। কিন্তু ডায়নোসরের অবয়বযুক্ত বেঞ্চগুলোর ছবি নেটিজেনদের মধ্যে এত সাড়া ফেলায় তিনি বিস্ময়াভূত হয়েছেন।
জাপানের ৪৭টি প্রদেশের মধ্যে ফুকুই প্রদেশটিকে ডায়নোসরের রাজ্য হিসেব অভিহিত করা হয়ে থাকে। কারণ ডায়নোসরের সঙ্গে জাপানের ফুকুই প্রদেশের বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ডায়নোসরের যত ফসিল আবিস্কৃত হয়েছে তার ৮০ শতাংশই আবিস্কৃত হয়েছে এই প্রদেশটিতে। ডায়নোসরের অনেকগুলো প্রজাতির নামকরণও করা হয়েছে ফুকুই প্রদেশের নামানুসারে। যেমন– ফুকুইসাউরুস, ফুকুইর্যাপটর, ফুকুইভেনাটর ও ফুকুইটাইটান।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ডায়নোসরের অবয়বযুক্ত বেঞ্চগুলো প্রথম যখন বাজারে আসে তখন সেগুলো বর্তমানের মতো সাড়া ফেলেনি। বেঞ্চগুলোর নির্মার্তা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় মার্ভেল কর্পোরেশেনর প্রেসিডেন্ট সেইসুকে ওজাওয়া (৬১) জানান, ২০১৮ সালে ফুকুই প্রদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া উৎসবকে সামনে রেখে বেঞ্চগুলো তৈরী করা হয়। কিন্তু স্থানীয়দের মধ্যে তখন সেটা সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু চলতি বছর প্রাদেশিক সরকারের সদরদপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটির সংস্কার শেষে এই বেঞ্চগুলো ভবনের সামনে স্থাপন করলে সেটা সবার দৃষ্টি কাড়ে।
জাপানি দৈনিক মাইনিচি শিম্বুনকে ওজাওয়া বলেন, আমরা বেঞ্চগুলো তৈরী করার পর তেমন সাড়া পাইনি। এমনকি প্রাদেশিক সরকারের কাছে বেঞ্চগুলো বিক্রি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। কিন্তু ভাল শিল্প কর্ম দেরীতে হলে সমাদৃত হয় সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হলো।
ফুকুই প্রাদেশিক সরকারের দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটি রাজ্যটির ঐতিহ্যবাহী ফুকুই ক্যাসেলের সাবেক প্রধান দূর্গস্থলে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি আগে থেকেই জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।