সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন

সোশ্যাল মিডিয়া

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির এ যুগে সোশ্যাল মিডিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতক্ষ-পরোক্ষভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে জড়িত থাকি। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টেলিগ্রাম ইত্যাদি মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারি। এসব মিডিয়া বিশ্বকে হাতের মুঠোই নিয়ে এসেছে। আবার সোশ্যাল মিডিয়ার অপ্রয়োজনীয় এবং অসতর্ক ব্যবহার জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। জীবনের মূল্যবান সময়কে নষ্ট করে। অথচ, সোশ্যাল মিডিয়া যথাযথ ব্যবহারে প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হতে পারে, যা পরবর্তীতে জনসম্পদে রূপান্তরিত হতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া

সব পর্যায়ে জনগণের মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। শিশুরা যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি আসক্ত না হয়ে পড়ে সে ব্যাপারে পরিবারের সদস্যদের লক্ষ রাখতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় বর্তমানে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। এর জন্য অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার অনেকটা দায়ী। শিশুরা দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত ইউটিউব ও ফেইসবুক ব্যবহারে আসক্ত হচ্ছে। শারীরিক পরিশ্রম না করে এভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রথম এবং মূল সুবিধা হচ্ছে কানেক্টিভিটি। মানুষ যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারে। কোনো স্থান বা ধর্ম বাধা হতে পারে না। সোশ্যাল মিডিয়ার বিউটি হচ্ছে শেখার জন্য বা নিজের চিন্তাধারা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যেকোনো মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া খুব সহজেই কারো খ্যাতি ধ্বংস করে দিতে পারে মিথ্যা গল্প বানিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে। ঠিক তেমনি কোনো বিজনেসও ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে এ ধরনের কর্মকান্ড। অনেকেই প্রেমের প্রস্তাব বা বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে থাকে এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। ঠিক তেমনি একে অপরকে ভুয়া অনুভ‚তি বলে এবং ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে থাকে।

অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার স্বাস্থ্যবিষয়ক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ব্যায়াম করা শরীরের জন্য ভালো আর বসে বসে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে খুব বেশি সময় দেয়া অলস করে তোলে, যা প্রত্যেক দিনের রুটিনে বাজে প্রভাব ফেলে। কয়েক ধরনের প্রতারণা লক্ষ করা যায়, যা বেশিরভাগ সময় ঘটে থাকে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।

ব্যক্তিগত তথ্য এবং গোপনীয়তা খুব সহজেই হ্যাক হতে পারে এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যেতে পারে মুহূর্তেই, যা অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং ব্যক্তগত জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। ঠিক তেমনি কারো অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার মারাত্মক অসুবিধা।