জুমবাংলা ডেস্ক: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ (বৃহস্পতিবার) দেশের বেশকিছু জেলার বিভিন্ন গ্রামে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। যদিও দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় দেশে রোজা শুরু হবে হবে শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে। কিন্তু কিছু গ্রামে রোজা শুরু বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ)।
ভিন্ন মাজহাবের অনুসারীরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জেনে এবং সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে তারা রোজা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে অনুযায়ী বুধবার এশার পর তারাবীর নামাজ পড়বেন এবং সেহরি খাবেন।
খবর পাওয়া গেছে, চাঁদপুর চট্টগ্রাম, শেরপুর, বরিশাল, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, জামালপুর, বরগুনাসহ অনেক জেলার বিভিন্ন গ্রামে বৃহস্পতিবার রোজা শুরু হচ্ছে।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক গ্রামে কাল রোজা শুরু হচ্ছে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের নিয়ম অনুসারে সৌদির নিয়ম মেনে রোজা ঈদ করেন। বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় ২০০ বছর ধরে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও চান্দ্র মাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদ্যাপন করে আসছেন তারা।
এ ছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরাও একই দিন রোজা রাখা শুরু করবেন।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বৃহস্পতিবার রোজা শুরু হচ্ছে মৌলভীবাজারের কিছু জায়গায়ও। বরিশাল মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারে রোজা শুরু হচ্ছে। জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলা বেশ কিছু গ্রামেও দেখা মিলছে এই দৃশ্যের। উ
এ ছাড়া জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় ও সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামের চন্দনাইশ দরবারের প্রায় দুই হাজার অনুসারী ঈদ উদ্যাপন করছেন। ঈদ উদ্যাপিত হচ্ছে পটুয়াখালী, বরগুনার বেতাগী, আমতলীসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থানে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মৌলভীবাজারে কয়েক শ নারী-পুরুষ রোজার প্রস্তুতি নিয়েছেন। স
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার রাধানগর, ধর্মপাশা উত্তরপাড়া, সৈয়দপুর, কান্দাপাড়া, গাছতলা, জামালপুর, দশধরী, রাজনগর, বাহুটিয়াকান্দা, মেউহারী ও মহদীপুর গ্রামে রোজার আমেজ ছড়িয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুর জেলার নুড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরিফের ভক্তরা রোজা রাখার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
উপজেলার ধর্মপাশা উত্তরপাড়া গ্রামে খানকায়ে সুরেশ্বরী দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে এবং একই সময়ে উপজেলার দশধরী খানকায়ে সুরেশ্বরী দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে দুটি ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে-অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
ধর্মপাশা উত্তরপাড়া খানকা শরিফ প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ পড়ান ওই খানকার খতিব মাওলানা রিফাত নূরী আল মুজাদ্দেদী। অপর দিকে দশধরী গ্রামের খানকা শরিফ প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ পড়ান ওই খানকার খতিব পলাশ মিয়া।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর ও কাউখালী উপজেলার আট গ্রামের ৭০০ পরিবার রোজার নিয়্যত করছে আজ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঠাবাড়িয়া উপজেলার পূর্ব সাপলেজা, ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, খেতাছিড়া, বাদুরতলী ও চড়কগাছিয়া গ্রামের ৬০০ পরিবার, কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের ৪০টি পরিবার, নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৭০টি পরিবার সৌদির চাঁদ অনুসরণ করে।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চলছেন মাদারীপুরের চারটি উপজেলার ২৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বরগুনা জেলার সদর উপজেলা, বেতাগী, আমতলী, তালতলী ও পাথরঘাটা উপজেলার অনেক এলাকায় রোজা একদিন আগে শুরু হচ্ছে।
একদিন আগে রোজা শুরু হচ্ছে নোয়াখালীর কিছু জায়গায়। সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুর, বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর ও গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তেরবাগ এলাকায় শুরু হয়েছে রোজার আমেজ।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে রমজান শুরু হচ্ছে। জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রতি বছরই আগাম রোজা এবং দুই ঈদ উদযাপন করেন।
সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর শায়েখ মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, আমরা আজ দিনগত রাতে তারাবি পড়বো, সেহরি খাবো এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রোজা পালন শুরু করবো।
বৃহস্পতিবার থেকে রোজা রাখবেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।