আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জর্ডানে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে বাসেম আওদাল্লাহ নামের সাবেক এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানকে পাঠানো তার ভয়েস মেসেজ ও ক্ষুদেবার্তা জব্দ করেছে দেশটির গোয়েন্দারা।
এ ঘটনায় তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে এমন তথ্য দিয়েছে।
মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ওই কর্মকর্তা আলাপ করছিলেন, কখন এবং কীভাবে জর্ডানে গণবিক্ষোভ উসকে দেওয়া হবে।
দেশটির নেতিয়ে পড়া অর্থনীতি এবং করোনা মহামারিকে ব্যবহার করে বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর শাসনকে অস্থিতিশীল করতে তারা ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
মিডল ইস্ট আইয়ের সূত্র নিজে বার্তাগুলো না দেখলেও তাদের কন্টেন্ট থেকে এসব তথ্য অবগত হয়েছেন।
গত ৩ এপ্রিল জর্ডানে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাসেম আওদাল্লাহ একজন।
এ ঘটনায় বাদশাহ আবদুল্লাহর ভাই প্রিন্স হামজা বিন হুসেইনকেও জড়ানো হয়েছিল।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও বাসেম আওদাল্লাহর মধ্যে বার্তাকে বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রের যথেষ্ট প্রমাণ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে এসব গোয়েন্দা তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে জানায় জর্ডান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছেও এই তথ্য পৌঁছানো হয়। জর্ডানের অস্থিতিশীলতা প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জর্ডানের বাদশাহর সমর্থনে একটি জোরালো বার্তা দেওয়ার আগে আবদুল্লাহকে ফোন দেন বাইডেন।
এরপর বিবৃতিতে বাইডেন নিজের কথা যুক্ত করেন। জর্ডানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কিনা; জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, নাহ, আমি মোটেও উদ্বিগ্ন না। আমি শুধু তাকে এই কথাটি বলতে ফোন দিয়েছি যে তিনি আমেরিকার বন্ধু। নিজেকে শক্ত রাখুন।
জর্ডানের লোকজন এই ঘটনাকে আবদুল্লাহকে উৎখাত করার ক্ষেত্রে মোহাম্মদ বিন সালমানকে বাইডেনের ব্যক্তিগত হুঁশিয়ারি হিসেবে দেখছেন।
প্রিন্স হামজার মুখোমুখি না হয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে বাদশাহ আবদুল্লাহকে ব্যাপক চেষ্টা করতে হয়েছে।
৮ মার্চ নিজের ছেলে ও সিংহাসনের উত্তরসূরি হুসেনকে সঙ্গে নিয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করতে রিয়াদে উড়াল দেন আবদুল্লাহ।
তার উদ্দেশ্য ছিল, মোহাম্মদ বিন সালমানকে বলা যে কী ঘটছে, তা তিনি জানেন। তিনি এবং তার সন্তান যে সৌদি যুবরাজের সমর্থক, সেই নিশ্চয়তাও দিয়ে আসেন জর্ডানের বাদশাহ।
সূত্র জানায়, এমবিএসের কাছে যতটা পরিষ্কার হওয়া দরকার, বাদশাহ আবদুল্লাহ ততটাই হয়েছেন। সৌদি যুবরাজকে বলেন যে জর্ডানকে অস্থিতিশীল করে কেউ লাভবান হবে না।
‘কাজেই তাকে এবং তার সন্তানকে যেন মোহাম্মদ বিন সালমান সমর্থন দেন, সেই নিশ্চয়তা চাচ্ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ।’
এর জবাবে সৌদি যুবরাজের জবাব ছিল উচ্ছ্বসিত। তিনি জর্ডানের বাদশাহ ও তার সন্তানকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং দুজনকে আলিঙ্গন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



