সৌরজগতের শীতলতম স্থান: বুধের গর্তে রহস্য

বুধ গ্রহে গর্ত

সৌরমানচিত্রে সৌরজগতের প্রথম গ্রহ বুধ। আমাদের নিজস্ব চাঁদের চেয়ে কিছুটা আকারে বড় গ্রহ বুধ। সূর্যের কাছাকাছি প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রহ। সম্প্রতি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) নভোযান বেপিকলম্বো বুধ গ্রহের বেশ বিস্তারিত কিছু ছবি সংগ্রহ করেছে। ষষ্ঠবারের মতো বুধ গ্রহের কাছাকাছি যাওয়ার সময় এই ছবি তোলে বেপিকলম্বো।

বুধ গ্রহে গর্ত

২০২৬ সালে গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করবে খেয়াযান বেপিকলম্বো। মহাকাশযানটি যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রিয়াম তৈরি করেছে। ২০১৮ সালে পাঠানো হয় নভোযানটি। ইএসএর মহাপরিচালক জোসেফ অ্যাশবাচার বলেন, বেপিকলম্বোর পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা–১ থেকে বিভিন্ন ছবি তোলা হয়। ছবিতে যেসব অন্ধকার গর্ত দেখা যাচ্ছে, সেখানে পানি জমে থাকতে পারে। এসব গর্তের নামকরণ করা হয়েছে। প্রোকোফিয়েভ, ক্যান্ডিনস্কি, টলকিয়েন ও গর্ডিমারের গর্ত বেশ বড়। স্থায়ী ছায়া দেখা যায় এসব গর্তে।

ছায়ার কারণে এসব গর্ত সৌরজগতের শীতলতম স্থানের মধ্যে একটি বলা যায়। বুধ সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ হওয়া সত্ত্বেও এসব গর্ত অনেক শীতল। এমন অন্ধকার গর্তে হিমায়িত পানি থাকতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহটিতে সত্যিই পানি আছে কি না, তা বেপিকলম্বো একবার গ্রহের কক্ষপথে গেলে অনুসন্ধান করা যাবে। বেপিকলম্বোর ফ্লাইট ডায়নামিক ম্যানেজার ফ্রাংক বুডনিক বলেন, বেপিকলম্বোর মূল অভিযান দুই বছর শুরু হতে পারে। এরই মধ্যে খেয়াযানটি আমাদের নতুন তথ্য দেওয়া শুরু করেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনেক রহস্য উদ্‌ঘাটন করা যাবে।

খেয়াযানটি বুধ গ্রহের কক্ষপথে থাকার সময় গ্রহটির গঠন নিয়ে কাজ করবে। বিশাল আকারের লোহার কেন্দ্র থাকার পরও গ্রহের পাতলা শিলার ধরন নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। কক্ষপথে প্রবেশের পর বেপিকলোম্বো মার্কারি ট্রান্সফার মডিউল গ্রহের জন্য একটি অরবিটার ও জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জাক্সা) মার্কারি ম্যাগনেটোস্ফিয়ারিক অরবিটার উন্মুক্ত করবে। ২০২৭ সাল থেকে দুটি অরবিটার গ্রহটির ডেটা সংগ্রহ করা শুরু করবে।