Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home স্কলারশিপ এসে রিকমেন্ডেশন লেটার: প্রয়োজনীয় টিপস!
    শিক্ষা ডেস্ক
    শিক্ষা

    স্কলারশিপ এসে রিকমেন্ডেশন লেটার: প্রয়োজনীয় টিপস!

    শিক্ষা ডেস্কMd EliasJuly 30, 20258 Mins Read
    Advertisement

    সেদিন রাত তিনটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র আরাফাতের কম্পিউটারের স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করছে কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ পেজ। সব কাগজপত্র ঠিকঠাক, জিপিএ উজ্জ্বল, SOP তো যেন কবিতা। কিন্তু তারপরই চোখ আটকে যায় এক লাইনে: “দুটি একাডেমিক রিকমেন্ডেশন লেটার জমা দিন।” হঠাৎ মনে পড়ে যায়, গত মাসে অধ্যাপক সাহেবকে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু এখনও কোনো খবর নেই। হাতের আঙুলগুলো ঠান্ডা হয়ে আসে। জানালার বাইরে শহরের আলোগুলো ঝিকিমিকি করছে, কিন্তু তার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন—এই একটি চিঠিই কি শেষ পর্যন্ত তার স্বপ্ন ভেঙে দেবে? এমন অসংখ্য আরাফাতের জন্য আজকের এই লেখা। কারণ, স্কলারশিপ রিকমেন্ডেশন লেটার শুধু কাগজের টুকরো নয়, এটি আপনার মেধা, ব্যক্তিত্ব এবং সম্ভাবনার জীবন্ত দলিল। আর এই দলিলটি কীভাবে আপনার পক্ষে সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তা-ই জানবো আজ।

    স্কলারশিপ এসে রিকমেন্ডেশন লেটার

    স্কলারশিপ রিকমেন্ডেশন লেটার: কেন এটি আপনার বৃত্তি আবেদনের ‘গেম চেঞ্জার’?

    ভারতের ইউজিসি (University Grants Commission) এবং বাংলাদেশের ইউজিসির যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য: শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৭০% স্কলারশিপ কমিটি রিকমেন্ডেশন লেটারকে আবেদনকারীর “সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য” প্রমাণপত্র বলে বিবেচনা করে। হার্ভার্ডের প্রাক্তন এডমিশন ডিরেক্টর উইলিয়াম ফিট্জসিমন্স এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “একটি উৎকৃষ্ট রিকমেন্ডেশন লেটার পরীক্ষার নম্বরের চেয়েও বেশি বলতে পারে—সেটি একজন শিক্ষার্থীর অদৃশ্য গুণাবলিকে দৃশ্যমান করে।” আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী সাদিয়া যখন জার্মানির DAAD স্কলারশিপ পেলেন, তার অধ্যাপক ড. ফারহানা রহমানের লেখা চিঠিটিই ছিল নিষ্পত্তিমূলক কারণ। সেখানে শুধু নম্বরের কথা নয়, বরং কোভিডকালে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে তার মানবিকতাকে তুলে ধরা হয়েছিল।

    রিকমেন্ডেশন লেটার মূল্যায়নের তিনটি গোপন মাপকাঠি

    1. প্রামাণিকতা ও বিশদ বিবরণ
      শুধু “ভাল ছাত্র” লিখলে চলবে না! স্ট্যানফোর্ডের এডমিশন গাইডলাইনে পরিষ্কার বলা আছে: রিকমেন্ডারকে অবশ্যই শিক্ষার্থীর সুনির্দিষ্ট কৃতিত্ব (যেমন: গবেষণাপত্র, প্রজেক্ট, নেতৃত্ব) এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য (সৃজনশীলতা, সহনশীলতা) উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণ: “রিয়াদ ২০২২ সালের ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ফেয়ার’-এ তার উদ্ভাবিত সৌরশক্তি চালিত সেচ প্রকল্পের জন্য পুরস্কৃত হয়, যা তার প্রায়োগিক চিন্তাশক্তির প্রমাণ।”

    2. তুলনামূলক বিশ্লেষণ
      কমিটি জানতে চায়, একই বয়সী বা একই কোর্সের অন্যান্যদের মধ্যে আপনি কতটা আলাদা। অক্সফোর্ডের একাডেমিক রেফারেন্স গাইডলাইন সুপারিশ করে: “প্রতি ব্যাচে শীর্ষ ৫%-এ তার অবস্থান” বা “আমার ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে এরকম মেধাবী আর পাইনি”—এ ধরনের বাক্য ওজন বাড়ায়।

    3. আবেগ নয়, প্রমাণ
      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার কাউন্সেলর ড. সাবরিনা ফেরদৌসের মতে: “একটি চিঠিতে ‘অসাধারণ’ শব্দটা ১০ বার লেখার চেয়ে একটি সত্য ঘটনা (যেমন: ‘মিডটার্মে অসুস্থতার পরও সে এক সপ্তাহে ১৫টি ল্যাব রিপোর্ট জমা দিয়েছিল’) অনেক বেশি কার্যকর।”

    বিশেষজ্ঞের কণ্ঠস্বর: “রিকমেন্ডেশন লেটার হচ্ছে ছাত্রের ‘স্টোরি টেলিং’-এর তৃতীয় পক্ষ। এটি যখন শিক্ষকের কলমে লেখা হয়, তা বিশ্বাসযোগ্যতা পায় যুগপৎ।”
    — ড. আহমেদ রেজা, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (BANBEIS) [সূত্র: BANBEIS গাইডলাইন ২০২৩]

    স্কলারশিপ রিকমেন্ডেশন লেটার লেখার বিজ্ঞান: ধাপে ধাপে মাস্টারক্লাস

    ধাপ ১: সঠিক রিকমেন্ডার নির্বাচন—যাদের ভুল পছন্দ ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে

    আপনার প্রিয় শিক্ষক সবসময় সেরা পছন্দ নন! MIT-এর এডমিশন ব্লগে প্রকাশিত ২০২৪ সালের একটি রিপোর্ট বলছে, ৬০% আবেদনকারী ভুল মানুষকে রিকমেন্ডার বানান। মনে রাখবেন:

    • আবেদনের ধরণের সাথে রিকমেন্ডারের সম্পর্ক: গবেষণা স্কলারশিপ চাইলে প্রজেক্ট সুপারভাইজার > শ্রেণিশিক্ষক।
    • সম্পর্কের গভীরতা: যে শিক্ষক আপনাকে ৩ বছর পড়িয়েছেন, তার চেয়ে যে অধ্যাপক আপনার থিসিস সুপারভাইজ ছিলেন, তিনি বেশি প্রাসঙ্গিক।
    • সময়মতো জমা দেওয়ার সক্ষমতা: ৮০% রিকমেন্ডেশন লেটার বাতিল হয় দেরিতে জমার কারণে (সূত্র: Fulbright Commission Bangladesh)। তাই আগেই নিশ্চিত হোন।

    ভুল পছন্দের উদাহরণ: নাবিলা, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, MBA স্কলারশিপের জন্য তার ইংরেজির শিক্ষককে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার বদলে ফিন্যান্সের প্রফেসরকে নিলে ভাল হতো, কারণ তার ফিন্যান্স প্রজেক্ট ছিল অসাধারণ।

    ধাপ ২: রিকমেন্ডারকে সাহায্য করুন—তাকে তথ্যের ‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক’ দিন

    একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী রিকমেন্ডারকে একটি “স্টুডেন্ট ডসিয়ার” দেয়, তাদের চিঠি ৪০% বেশি কার্যকর হয়। এই ডসিয়ারে যা রাখবেন:

    • আপনার সিভি/রেজিউমে: হাইলাইট করা অংশ সহ।
    • স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP)-এর কপি: যাতে রিকমেন্ডার আপনার লক্ষ্য বুঝতে পারেন।
    • নির্দিষ্ট স্কলারশিপের ক্রাইটেরিয়া: কমিটি কী চায় তা জানতে দিন।
    • স্মরণীয় ঘটনার তালিকা: “স্যার, মনে আছে ২০২২ সালে আমার সেই রোবটিক্স প্রজেক্টের কথা? আমরা পুরস্কার পেয়েছিলাম।”
    • ডেডলাইনের ৩ সপ্তাহ আগে রিমাইন্ডার মেইল পাঠানোর পরিকল্পনা৷

    ধাপ ৩: আদর্শ ফরম্যাট ও ভাষারীতি—পেশাদারিত্বের ছাপ

    চিঠির গঠনশৈলীই বলে দেয় কতটা যত্ন নেওয়া হয়েছে। ইউনেস্কোর প্রকাশনা “Higher Education Scholarship Guidelines”-এ সুপারিশ করা ফরম্যাট:

    1. হেডার: বিশ্ববিদ্যালয়ের লেটারহেড ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক (যদি শিক্ষক লিখেন)।
    2. সম্ভাষণ: “To the Scholarship Committee” বা নির্দিষ্ট ব্যক্তি (যদি জানা থাকে)।
    3. পরিচয় পর্ব: রিকমেন্ডারের নিজের পরিচয় এবং শিক্ষার্থীর সাথে সম্পর্ক (কোর্সের নাম, সময়কাল)।
    4. মূল মূল্যায়ন:
      • একাডেমিক পারফরম্যান্স (সুনির্দিষ্ট উদাহরণ সহ)।
      • ব্যক্তিত্ব ও নমনীয় দক্ষতা (দলগত কাজ, সমস্যা সমাধান)।
      • স্কলারশিপের সাথে প্রাসঙ্গিকতা (কেন এই বৃত্তি তার জন্য পারফেক্ট?)।
    5. সারসংক্ষেপ ও সুপারিশ: স্পষ্টভাবে বলুন “I strongly recommend [নাম]”।
    6. যোগাযোগের তথ্য: ইমেইল/ফোন নম্বর উল্লেখ করুন, যাতে কমিটি যাচাই করতে পারে।

    গুরুত্বপূর্ণ টিপ: চিঠি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ইমেইল (edu ডোমেইন) থেকে পাঠাতে হবে। জিমেইল/ইয়াহু থেকে পাঠানো চিঠি অনেক সময় রিজেক্ট হয় (সূত্র: British Council Bangladesh)।

    মারাত্মক ৫টি ভুল যা আপনার স্কলারশিপ স্বপ্ন ধূলিসাৎ করতে পারে

    1. জেনেরিক ভাষা: “সব বিষয়ে ভাল” বা “মেধাবী ছাত্র” জাতীয় বাক্য এড়িয়ে চলুন। বরং লিখুন: “তার ডাটা অ্যানালাইসিস প্রজেক্টে পাইথন কোডিং দক্ষতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।”
    2. অতিরঞ্জন: “সে এই প্রজন্মের আইনস্টাইন”—এ ধরনের উক্তি বিশ্বাসযোগ্যতা কমায়। বাস্তব সাফল্যে ফোকাস করুন।
    3. নেগেটিভ ইঙ্গিত: “যদিও সে মাঝে মাঝে দেরি করে…”—এমন কোনও কথা লিখবেন না, যা দুর্ভাগ্যজনক ব্যাখ্যার সুযোগ দেয়।
    4. ফরম্যাট ভুল: স্বাক্ষর বা তারিখ ছাড়া চিঠি অটো-রিজেক্টের শিকার হয় অনেক কমিটিতে।
    5. কপি-পেস্ট বিপত্তি: একই ছাত্রের জন্য একই রিকমেন্ডার যদি ভিন্ন ভিন্ন চিঠি না লেখেন (শুধু নাম বদলান), তা সফটওয়্যার ধরে ফেলে। টার্নিটিনের মতো টুলস এখন অনেক স্কলারশিপে ব্যবহার হয়।

    রিয়েল-লাইফ কেস: রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আহসানুল হক চেয়েছিলেন জাপান সরকারের MEXT স্কলারশিপ পেতে। তার রিকমেন্ডেশন লেটারে লেখা ছিল, “সে নিয়মিত ক্লাস করত।” পরবর্তীতে তিনি শিখলেন, “তার রোবটিক্স টিম লিডারশিপ প্রকল্পটি বিভাগে সেরা নির্বাচিত হয়েছিল” লিখলে ফল ভিন্ন হতো।

    শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য গোল্ডেন গাইডলাইনস: কিভাবে লিখবেন স্মরণীয় রিকমেন্ডেশন লেটার?

    আপনি যদি রিকমেন্ডার হন, এই কৌশলগুলো চিঠিকে অনন্যমাত্রা দেবে:

    • কোয়ান্টিফাই করুন: “সে ল্যাবে ভাল” না লিখে “তার পরীক্ষার ফলাফল গড়ে ৯২%, যা বিভাগে শীর্ষ ৩%-এ স্থান দেয়।”
    • একটি মেমোরেবল স্টোরি বলুন: “যখন গ্রুপ প্রজেক্টের সদস্য অসুস্থ পড়েছিল, তানভির একাই রাত জেগে পুরো কোডিং শেষ করেছিল।”
    • স্কলারশিপের উদ্দেশ্যের সাথে মেলান: যদি বৃত্তিটি নেতৃত্বের জন্য হয়, তাহলে ক্যাম্পাস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার ভূমিকা হাইলাইট করুন।
    • কমিটির ভাষায় কথা বলুন: স্কলারশিপের ওয়েবসাইটে দেওয়া কীওয়ার্ড (যেমন: innovation, community impact) ব্যবহার করুন।

    টেমপ্লেট স্ট্রাকচার:

    [তারিখ]  
    
    Scholarship Committee  
    [বিশ্ববিদ্যালয়/সংস্থার নাম]  
    [ঠিকানা]  
    
    বিষয়: [শিক্ষার্থীর নাম]-এর জন্য সুপারিশ পত্র  
    
    মহোদয়,  
    
    আমি [আপনার নাম], [আপনার পদবী], [বিভাগ], [বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠান], আনন্দের সাথে [শিক্ষার্থীর নাম]-কে [স্কলারশিপের নাম]-এর জন্য সুপারিশ করছি। আমি তাকে [কোর্সের নাম] কোর্সে [সেমিস্টার/বছর] ধরে পড়িয়েছি/তত্ত্বাবধান করেছি।  
    
    একাডেমিক ক্ষেত্রে [শিক্ষার্থীর নাম] ব্যতিক্রমী, বিশেষ করে [নির্দিষ্ট বিষয়/প্রজেক্টের নাম]-এ তার পারদর্শিতার জন্য। [সুনির্দিষ্ট উদাহরণ: যেমন "তার গবেষণাপত্রটি জার্নালে প্রকাশের জন্য গৃহীত হয়েছে"]।  
    
    ব্যক্তিগত গুণাবলীর মধ্যে তার [যেমন: সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, দলনেতৃত্ব] উল্লেখযোগ্য। [একটি সংক্ষিপ্ত ঘটনা: যেমন "তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে..."।  
    
    আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, [স্কলারশিপের নাম] পেলে সে [বিশ্ববিদ্যালয়/ক্ষেত্র]-এ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাকে আপনার সমর্থন দেওয়ার জন্য আমি পুরোপুরি সুপারিশ করছি।  
    
    আন্তরিকভাবে,  
    [আপনার স্বাক্ষর]  
    [আপনার নাম]  
    [পদবী]  
    [যোগাযোগের তথ্য]  

    বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় কী চায়? সফল রিকমেন্ডেশন লেটারের গোপন নমুনা

    নমুনা স্নিপেট (গবেষণা স্কলারশিপের জন্য):

    “শ্রীমতি জারা আহমেদের সাথে আমি তার স্নাতক থিসিসে কাজ করেছি, যেখানে সে ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে জলের আর্সেনিক দূষণ রোধে একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। তার এই গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল ‘বাংলাদেশ জার্নাল অব কেমিস্ট্রি’-তে গৃহীত হয়েছে। তার ধৈর্য, বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা অসাধারণ। আমি নিশ্চিত, আপনার প্রোগ্রামে সে গবেষণার নতুন মাত্রা যোগ করবে।”

    নমুনা স্নিপেট (লিডারশিপ স্কলারশিপের জন্য):

    “আমার ১৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে মি. সাকিব হাসানই একমাত্র ছাত্র যিনি একসাথে ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, রোভার স্কাউটের টিম লিডার এবং কমিউনিটি টিউটরিং প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা হতে পেরেছেন। ২০২৩ সালের বন্যায় তার সংগঠিত ত্রাণ কার্যক্রম ৫০০ পরিবারকে সাহায্য করে।”

    সতর্কীকরণ: এই নমুনাগুলো অনুপ্রেরণার জন্য। কখনোই হুবহু কপি করবেন না—প্লেজিয়ারিজম ডিটেক্ট হলে আবেদন বাতিল হবে!

    জেনে রাখুন

    রিকমেন্ডেশন লেটার কতদিন বৈধ থাকে?
    সাধারণত রিকমেন্ডেশন লেটারের নির্দিষ্ট এক্সপাইরি ডেট নেই, তবে একাডেমিক বা পেশাদার অর্জন যুক্ত করার জন্য ২ বছরের মধ্যে লেখা চিঠি সর্বোত্তম বলে ধরা হয়। ফ্রেশ পার্সপেক্টিভের জন্য কমিটি ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে লেখা চিঠি পছন্দ করে। স্কলারশিপ ভেদে নীতিভিন্ন হতে পারে, তাই প্রতিষ্ঠানের গাইডলাইন চেক করুন।

    যদি শিক্ষক/সুপারভাইজার চিঠি লেখার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন?
    প্রথমেই কারণ জিজ্ঞাসা করুন। যদি তারা সময়াভাবে না লিখতে চান, তাহলে আপনি নিজেই একটি ড্রাফ্ট তৈরি করে তাদের রিভিউ ও স্বাক্ষরের জন্য দিন। চিঠির কন্টেন্টে তাদের সম্পাদনার সুযোগ দিন। অন্য কোনো প্রফেসর বা কর্মকর্তা যিনি আপনাকে ভালো চেনেন, তার কাছে যান।

    অফিসিয়াল সিল/স্ট্যাম্প কি বাধ্যতামূলক?
    বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক স্কলারশিপে অফিসিয়াল লেটারহেডে লেখা চিঠিই যথেষ্ট, আলাদা স্ট্যাম্পের প্রয়োজন নেই। তবে বাংলাদেশি কিছু সরকারি বৃত্তি (যেমন: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট) স্ট্যাম্প চাইতে পারে। সবসময় স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে Requirement চেক করুন।

    কতজন রিকমেন্ডারের চিঠি জমা দিতে হয়?
    সাধারণত ২-৩টি চিঠির প্রয়োজন হয়। একজন একাডেমিক (শিক্ষক/থিসিস সুপারভাইজার), একজন প্রফেশনাল (চাকরির সুপারভাইজার, যদি থাকে) অথবা চরিত্র সনদদাতা (কমিউনিটি লিডার)। কখনোই শুধু বন্ধু বা আত্মীয়কে রিকমেন্ডার বানাবেন না—এটি অগ্রহণযোগ্য।

    ই-মেইলে রিকমেন্ডেশন লিংক পেলে রিকমেন্ডার কী করবেন?
    রিকমেন্ডারকে একটি অনন্য লিংক পাঠানো হবে, যেখানে তিনি অনলাইন ফর্ম পূরণ করে বা PDF আপলোড করে চিঠি জমা দেবেন। তাকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীর নিজের ইমেইল থেকে জমা দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

    রিকমেন্ডারকে ধন্যবাদ জানানো কীভাবে উচিত?
    চিঠি জমা হওয়ার পর একটি হ্যান্ডরাইটেন থ্যাঙ্ক ইউ নোট বা ছোট উপহার (বই/ফুল) দিতে পারেন। ইমেইলে শুধু “ধন্যবাদ” না লিখে বলুন: “আপনার সময় ও আস্থার জন্য কৃতজ্ঞ, যা আমার ভবিষ্যৎ গঠনে সাহায্য করছে।” পরবর্তীতে স্কলারশিপের ফলাফল জানাতেও ভুলবেন না।

    সবচেয়ে বড় উপদেশ: স্কলারশিপ কমিটি প্রতিদিন শত শত আবেদন দেখে। আপনার রিকমেন্ডেশন লেটারই সেই মুহূর্ত তৈরি করতে পারে, যখন একজন রিভিউয়ার বলবেন, “এই ছেলেটা/মেয়েটা তো আলাদা!” তাই এটিকে ‘শেষ মুহূর্তের ফর্মালিটি’ ভাববেন না। এটি আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক দলিলগুলোর একটি। আজই সেই শিক্ষক বা সুপারভাইজারকে যোগাযোগ করুন, যিনি আপনার গল্পটা সবচেয়ে искренভাবে বলতে পারবেন। কারণ, স্কলারশিপ রিকমেন্ডেশন লেটার শুধু কাগজে লেখা কথা নয়—এটি আপনার সম্ভাবনার প্রতি বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি। আপনার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় যেন এই প্রতিধ্বনিই শুনতে পায়!


    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    এসে টিপস প্রয়োজনীয় রিকমেন্ডেশন লেটার শিক্ষা স্কলারশিপ স্কলারশিপ রিকমেন্ডেশন লেটার
    Related Posts

    ডাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবিরের ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থী

    September 10, 2025
    DU logo

    ঢাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বুধবার

    September 9, 2025
    ঢাবি ক্যাম্পাস

    থমথমে ঢাবি ক্যাম্পাস, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

    September 9, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Nepal social media ban

    Nepal Lifts Social Media Ban After Deadly Protests Rock Kathmandu

    Joachim Trier new film

    Joachim Trier’s New Film ‘Sentimental Value’ Explores Family Trauma and Artistic Reconciliation

    NYT Strands Answers

    NYT Strands Hints Today: Solve the September 10 Puzzle

    বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

    বরগুনার আমতলীতে বাঁশ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

    Nainital family trip

    American Family’s Himalayan Getaway to Nainital Earns Rave Reviews

    Bangladeshi

    কিরগিজস্তান থেকে দেশে ফিরলেন ১৮০ বাংলাদেশি

    চুল

    কত বছর বয়স পর্যন্ত মানুষের চুল গজায়? জানলে অবাক হবেন

    cheap 2K gaming monitor

    Xiaomi Redmi G27Q 2026: The New King of Cheap 2K Gaming Monitors

    প্রশ্ন ও উত্তর

    ছেলেদের কোন জিনিসটা সবসময় কালো রঙের হয়? অনেকেই জানেন না

    DU

    থমথমে ঢাবি ক্যাম্পাস, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.