বিনোদন ডেস্ক : কয়েক বছর আগে স্কুবা ডাইভিংয়ে সনদ পেয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। তিনি ছাড়াও অভিনয়ের বাইরে এমন নানা গুণ আছে আরো অনেকের। তাঁদের কথা নিয়েই ফিচার
পরিণীতি চোপড়া : স্কুবা ডাইভিংয়ে আগ্রহ ছিল বরাবরই। ঝাঝেলা ছিল বাড়তি ওজন নিয়ে। নিজেকে বেশি ‘ভারী’ মনে হওয়ায় ওমুখো হননি পরিণীতি চোপড়া। ওজন কমিয়ে ঝরঝরে শরীর নিয়ে এবার মনোযোগ দিয়েছেন স্কুবা ডাইভিংয়ে। প্রশিক্ষণ নিয়ে সনদও লাভ করেছেন। সনদের সুবাদে চাইলেই তিনি এখন ডুব দিতে পারবেন পানির ৩০ মিটার গভীরে। ‘স্কুবা ডাইভিং অনেকটা ধ্যানে বসার মতো। সমুদ্র তলদেশ নিঃশব্দ এক জগৎ। যেখানে চেনা পৃথিবীর ভিন্ন রূপ দেখ যায়,’ বলেন পরিণীতি।
টম ক্রুজ : স্কুবা ডাইভিং নয়, টম ক্রুজ পারেন বিমান চালাতে। ১৯৮৬ সালে ‘টপ গান’ ছবিতে অভিনয় করার পর থেকেই তাঁর মাথায় প্লেন ওড়ানোর ভূত চাপে। প্রশিক্ষণ নিয়ে পাইলট হিসেবে একটি লাইসেন্সও পেয়ে যান। সেটা অবশ্য ১৯৯৪ সালের কথা। বর্তমানে তিনি পাঁচটি বিমানের মালিক। একসময় নিয়মিত চালালেও এখন খুব একটা বিমান চালাতে দেখা যায় না তাঁকে।
কেট হাডসন : ‘ফুল’স গোল্ড’ ছবির জন্য তাঁকে স্কুবা ডাইভিং করার সনদ নিতে হয়েছিল। ছবিটির শুটিং হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সৈকতে। সেই যে পানির নিচের জগতে মজলেন, এরপর নিয়মিতই স্কুবা ডাইভিং করেন অভিনেত্রী।
জেমস ক্যামেরন : পরিচালক জেমস ক্যামেরনের পানির প্রতি তীব্র আকর্ষণ। ‘দ্য অ্যাবেস’ (১৯৮৯) ও ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭) ছবিতেই এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। স্কুবা ডাইভিংয়েও তিনি দারুণ পারদর্শী। দ্বীপ পছন্দ করেন ক্যামেরন। প্রিয় কোনো বন্ধুকে নিয়ে দ্বীপে স্কুবা ডাইভিং—ক্যামেরনের ছুটি কাটানো প্রিয় উপায়।
রোয়ান অ্যাটকিনসন : মিস্টার বিন খ্যাত এই অভিনেতা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু অভিনয় বা ইঞ্জিনিয়ারিং নয় তাঁর প্রথম পছন্দ কার রেসিং। কার রেসিংয়ের মতো আর কোনো কিছুই তাঁকে এত আকৃষ্ট করে না। অত্যাধুনিক রেসিং গাড়ি চালাতে দারুণ পারদর্শী তিনি। অপেশাদার কয়েকটি প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছেন।
মরগান ফ্রিম্যান : জ্যাকসন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিনয়ের ওপর বৃত্তিও পেয়েছিলেন। কিন্তু যুুদ্ধবিমানের বৈমানিক হওয়ার জন্য সে সময় তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাই সে বৃত্তি তিনি গ্রহণ করতে পারেননি। যদিও যুদ্ধবিমানের বৈমানিক হতে পারেননি, পরে অভিনেতা হিসেবেই নাম কামিয়েছেন মরগান ফ্রিম্যান। অবশ্য সাধারণ বিমান চালানোর লাইসেন্স ঠিকই পেয়েছিলেন। সেটা ৬৫ বছর বয়সে এসে। এখন তাঁর মালিকানায় তিনটি বিমান আছে।
পল নিউম্যান : তিনি তাঁর অভিনয়জীবনে অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন। কার রেসিংয়েও নিজের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। স্পোর্টস কার ক্লাব অব আমেরিকার হয়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন।
জন ট্রাভোলটা : তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পাইলট জন ট্রাভোলটা। ২২ বছর বয়স থেকেই তিনি বিমান চালানোয় পারদর্শী। এখন তিনি যেকোনো আকারের বিমান ওড়ানোর সামর্থ্য রাখেন। বিমান ওড়ানো তাঁর কাছে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে প্রায় ৫০ লাখ ডলার দিয়ে একটি জায়গা কিনে ফেলেছেন! যেখান থেকে প্লেন চালিয়ে সরাসরি ফ্লোরিডার জামবোলাইয়ার এয়ারপোর্টে যাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।