জমুবাংলা ডেস্ক : রংপুরে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা এএসআই রায়হানুল ইসলামকে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রংপুর পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গতকাল বিকেলে সিনিয়র চিফ জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দেন। একই আদালতে নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী আসামিদের শনাক্ত করে জবানবন্দি দেয়।
দলবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে গত মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট সদরের পূর্ব মাজাপাড়া এলাকার করি মাহমুদের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮) এবং পূর্ব থানাপাড়ার মৃত কাচু মিয়ার ছেলে আবুল কালাম আজাদকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। রংপুর নগরীর ময়নাকুঠি কচুটারিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। গত শুক্রবার ওই ছাত্রীকে স্থানীয় ক্যাদারের পুল এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন এএসআই রায়হানুল। পরে রবিবার বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার দিন ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। সোমবার মামলাটি হারাগাছ থানা থেকে রংপুর পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত এএসআই রায়হানকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে রংপুরে নাগরিক সমাজ। গতকাল দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল ফারুকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলনে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের হাতে যদি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলে নারীদের নিরাপত্তা কোথায়?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।