গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে তিনি এ অভিযোগ করে লিখিত সংবাদ সম্মেললন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোসা. রনী বেগম বলেন, তার স্বামী মঠোরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. ফরিদ আলমের বিবাহিত স্ত্রী সে, গত ২০১৩ সালে ইসলামী বিধান মোতাবেক বিবাহ হয়। তিনি নিজেকে তার ৬ষ্ঠ স্ত্রী দাবি করে বলেন, মো. ফরিদের বিবাহিত তার পূর্বের স্ত্রীদের সাথে বিচ্ছেদ হওয়ায় কথা বলায় তাকে সরল বিশ্বাসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর খোজঁ নিয়ে জানতে পারেন তিনি ইতিপূর্বে চরদুয়ানী ইউনিয়নের নাজমা বেগম, নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মনিরা বেগম, বরগুনা সদর উপজেলার লাবনী ও লায়লা বেগম, পাথরঘাটা ইউনিয়নের রুমা বেগমকে বিয়ে করেন। এখন তিনি সহ লায়লা তার অন্য স্ত্রী রুমার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক আছে। রনীর ঘরে সাত বছরের মিথিলা নামে এক কন্যা আছে। তাকেও কন্যার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছিল সে।
তিনি আরো বলেন, তার স্বামী ফরিদ চরিত্রহীন, একারনে আমার ছোট বোনদের কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। পুলিশকে মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজের কথা বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে রনীর মা বকুল বেগম ও কন্যা মিথিলা উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে স্বামী মো. ফরিদুল আলম জানান, রনী বেগম ছাড়া তার কোন স্ত্রী নেই। মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে তার স্ত্রী রনী ও শশুর মজিবর রহমান সিকু। তাদের জমি বিক্রী করার কথা বলে ৮লাখ টাকা নিয়ে জমি বা টাকা কোনটাই ফেরত না দেয়ায় তাদের মধ্যে এ কলহ সৃষ্টি হয়েছে। এসময় ফরিদ তার স্ত্রী রনীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন এবং বলেন তার শ্বশুর একজন চিহিৃত অপরাধী। ধ র্ষণ, মা দক ও হরিণ চুরিসহ বন আইনে তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা চলমান। এ কারণে বর্তমানে তিনি জেল হাজতে আছেন।
ফরিদ আলম আরো জানান, তার আভিযোগ স্ত্রী রনী ও শশুর মো. মজিবর রহমান সিকুর মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পাথরঘাটা থানার এক উপ-পরিদর্শককে ফাদেঁ ফেলে বিয়ে করতে বাধ্য করে। সে পুলিশ কর্মকতা স্ত্রীকে ফেলে পালিয়েছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক নেতা নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ আছে। মামলায় পড়ে একবার সে হাজত বাস করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।