যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের বড় বড় দেশ মহাকাশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য সাম্প্রতিক সময়ে নানা অভিযান পরিচালনা করছে। বড় দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ–দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছে। প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের স্টারশিপ রকেটের কারণে মহাকাশ প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র সামনে এগিয়ে গেছে। স্টারশিপ শুধু যুক্তরাষ্ট্রকেই দৌড়ে শীর্ষে রাখছে না, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকেই পরাজিত করছে। স্পেসএক্স মহাকাশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের চমক নিয়ে কাজ করছে। গত বছর চমক হিসেবে স্টারশিপ পাঠানোর ঘোষণা দেয় নাসা। নতুন রকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযানের খরচ আরও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপ টেক্সাসের একটি লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।। শব্দের গতির চেয়ে বেশি বেগে উড়ে যায় রকেটটি। রকেটের প্রধান বুস্টারটি ৬৫ কিলোমিটারের বেশি উচ্চতায় পৌঁছে যায়। সেই বুস্টার ফিরে আসার পরে ‘চপস্টিকের’ মাধ্যমে ধরে ফেলা হয়। স্পেসএক্সের প্রকৌশলী কেট টিস বলেন, এমন অবতরণ প্রকৌশল ইতিহাসের বইয়ের জন্য আলোচিত একটি দিন। গবেষণা জার্নাল সায়েন্স–এর ভাষ্যে, এমন কীর্তি সাশ্রয়ী মূল্যের ভারী লিফট রকেটের নতুন যুগের সূচনা করছে। মহাকাশে অভিযান করার খরচ কমিয়ে দিতে পারে এই রকেট।
ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স ইতিমধ্যে পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে পণ্য পরিবহনে অনেক খরচ কমিয়ে ফেলেছ। স্টারশিপ এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী লঞ্চার। এই লঞ্চার পূর্ণরূপে ও দ্রুত পুনর্ব্যবহারযোগ্য হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। স্টারশিপ ব্যবহার করে প্রতি দুই বা তিন সপ্তাহে লঞ্চ করা যেতে পারে। ২০২৫ সালে এই রকেটের মাধ্যমে ২৫টি ফ্লাইটের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আশ্চর্যজনকভাবে স্টারশিপের অভিযানকে উচ্চাভিলাষী প্রোগ্রাম বলা হচ্ছে। ইসরায়েল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির টেকনিওনের অধ্যাপক জ্যোতিঃপদার্থবিদ এহুদ বেহার বলেন, স্পেসএক্সের অভিয়ান ঝার জন্য আপনাকে রকেট বিজ্ঞানী হতে হবে না। স্টারশিপ ব্যবহারের সুবিধা অনেক। পুনরুদ্ধারযোগ্য লঞ্চারে মিশনের খরচ বর্তমান থেকে অনেক কমে যাবে।
সাধারণভাবে মহাকাশে যেকোনো অভিযান অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক পরীক্ষার কারণে খরচ বেড়ে যায়। স্টারশিপ নিয়মিত ফ্লাইট সস্তা করে ফেলবে অভিযানকে। এই রকেট ব্যবহার করে রোবট রোভারের বহর মঙ্গলে পাঠানো যেতে পারে খুব সহজে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।