নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার একটি ছাত্রীনিবাসে কেরোসিনের চুলা (স্টোভ ) বিস্ফোরণে দগ্ধ সানজিদার পর শামীমাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমা মারা যান।
এর আগে সকালে একই হাসপাতালে কলেজ ছাত্রী সানজিদা মারা যান। তারা দু’জনই নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। নিহত শামিমা খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে এবং সানজিদা আক্তার লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর এলাকার শাহাবুদ্দিনের মেয়ে।
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুজ্জোহা বলেন, সানজিদা ও শামিমার অকাল মৃত্যুতে পুরো কলেজে শোকাহত পরিবেশ বিরাজ করছে। দুটি প্রাণোচ্ছ্বল ছাত্রীর অকাল মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। দুই শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন শহরের বড়গাছা এলাকার জ্যোতি ছাত্রী নিবাসে রান্না করার সময় কোরোসিনের স্টোভ বিস্ফোরণে নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজের ছাত্রী শামিমা, সানজিদা ও ফাতেমা দগ্ধ হয়। ফাতেমা কিছুটা দগ্ধ হলেও শামীমা ও সানজিদার শরীরের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সানজিদা আক্তার এবং শামিমা খাতুনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার তারা মৃত্যুর কাছে হার মানেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।