আপনি কি সময় পেলেই প্রতিদিন পান করেন ফ্রুট জুস বা কোল্ড ড্রিংকস কিংবা কফি, তা হলে আপনার জন্য রয়েছে খারাপ খবর। কারণ নিয়মিত এসব পানীয়ে চুমুক দিলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, দিনে ৪ কাপ কফি, অল্প ফ্রুট জুস বা কোল্ড ড্রিংকস খেলেই এই রোগ বিপদে ফেলতে পারে। অপরদিকে গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এর পাশাপাশি সারাদিনে ৭ গ্লাসের বেশি পানিপান করলেই সুস্থ থাকা যায়। আ
এই গবেষণাটি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব স্ট্রোকে প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় ফ্রুট জুস, কফি, কোল্ড ড্রিংকস থেকে শুরু করে বিভিন্ন পানীয়ের সঙ্গে স্টোকের যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়। আর সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষক দলের মতে, আজকাল কফি, ফ্রুট জুস এবং কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আর এ সব পানীয় স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। তাই এখনি সাবধান হওয়া উচিত।
সমস্যার অপর নাম ফ্রুট জুস: এই গবেষণায় দেখা যায়, বাজারে প্যাকেটবন্দি অবস্থায় বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ ফ্রুট জুসেই প্রচুর পরিমাণে চিনি, কৃত্রিম মিষ্টি এবং বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক মেশানো থাকে। আর এই সমস্ত উপাদান শরীরের বড়সড় ক্ষতি করে দেয়। যার জন্য হার্টের অসুখ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই দোকান থেকে বোতলবন্দি জুস কিনে খাবেন না। বরং বাড়িতে ফল কিনে এনে তার রস করে খান। এই কাজটা করলে অন্তত বড়সড় বিপদের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমবে।
কফিতেই বিপদ: আমাদের মধ্যে অনেকেই কফির প্রেমে পাগল। তাই তারা প্রতিদিন ৭-৮ কাপ কফি খেতেও পিছপা হন না। আর এই ভুলের জন্য স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষকদের কথায়, দিনে ৪ কাপের বেশি কফি পান করলেই এই অসুখ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩৭ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়। তাই ৪ কাপের বেশি কফি একবারেই খাবেন না। তার বদলে ভরসা রাখতে পারেন চিনি ছাড়া চায়ের ওপর। এই নিয়মটা মেনে চললেই স্ট্রোকের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি কমে যাবে।
কোল্ড ড্রিংকস থেকে সাবধান: বাচ্চা থেকে বুড়ো, সকলেই এই পানীয়ের প্রেমে পাগল। আর সাধারণ মানুষের এহেন কোল্ড ড্রিংকস প্রীতিকেই খারাপ চোখে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই পানীয়ে মজুত চিনি এবং কৃত্রিম মিষ্টি শরীরের বারোটা বাজায়। এমনকী স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় প্রায় ২২ শতাংশ। তাই ভুলেও কোল্ড ড্রিংকস খাবেন না।
চা, পানি খেলে সুস্থ থাকবেন: গবেষকদের কথায়, দিনে ৭ গ্লাসের বেশি পানি পানেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এর পাশাপাশি দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ ব্ল্যাক টি খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে প্রায় ২০ শতাংশ। অপরদিকে হার্বাল টি খেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৯ শতাংশ কমে। ঠিক একইভাবে গ্রিন টি পান করলে স্ট্রোকের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ হ্রাস পায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।