জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ইজিবাইক চালক সেলিম হোসেনকে (২৫) হত্যা করে তার বাহন ছিনতাইয়ের মূল ঘটনা উৎঘাটন করেছে পুলিশ। এলাকার এক গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করায় পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে সেলিমকে হত্যা করা হয়। এরপর তার ইজিবাইক নিয়ে ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করে তা ভাগাভাগি করে নেয় হত্যাকারীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে পাবনা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মহিবুল খান এক প্রেস বিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
প্রেস বিফিংয়ে এসপি মোহাম্মদ মহিবুল খান বলেন, সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গোসাইপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সেলিম হোসেন বহলবাড়িয়া গ্রামের এক গৃহবধূকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করতেন। ওই নারীর বিষয়টি তার স্বামী আল-আমিনকে জানালে তিনি সেলিমকে হত্যা ও অটোবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৯ জুন বিকেলে ফোন করে সেলিমের অটোবাইক রির্জাভ করে উপজেলার মাহমুদপুর থেকে গাড়ীতে ওঠে খুনিরা। রাত ৯ টার দিকে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের বহলবাড়িয়া কালুকাটা মাঠে চালক সেলিমকে গাঁজা সেবন করান হত্যাকারীরা।
এসপি জানান, গাঁজা সেবন করানোয় সেলিম নেশাগ্রস্ত হলে খুনিরা তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও চাকু দিয়ে পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। পরে তার ইজিবাইক নিয়ে ভাঙাড়ির দোকানে ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তপূর্বক গত ১২ জুন ভোরে ঢাকার ধামরাই ইটভাটা থেকে সাঁথিয়ার বহলবাড়িয়া গ্রামের আবু সাইদ মোল্লার ছেলে রাসেল হোসেন (২২), সোলেমানের ছেলে রানা শেখকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই দিনে বহলবাড়িয়া থেকে আল-আমিনের স্ত্রী শীলা খাতুন (১৮) ও ওয়াজেদ সরদারের ছেলে হোসেন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আতাইকুলা বাজারের ভাঙারি ব্যবসায়ী বৃহস্পতিপুর গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে সেলিমের ইজিবাইক উদ্ধার ও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের পাবনার আদালতে হাজির করলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
গত ১০ জুন সকালে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের সাঁথিয়ার বহলবাড়িয়া নামক স্থান সংলগ্ন কালুকাটা চকে সেলিমের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে সেলিমের ভাই বাদী হয়ে ওই দিই সাঁথিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের জোর চেষ্টা চালায়। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দুকুল ইসলাম জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অটোবাইক চালকের হত্যার ক্লু উৎঘাটনের সব ধরণের চেষ্টা চালানো হয়। এ মামলার ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।