জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লার বুড়িচংয়ে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের পর ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে স্ত্রীর লাশের পাশেই বসে ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে এবং লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম শাহিনুর আক্তার (৩৮)। তিনি বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের (৪৫) স্ত্রী। জাহাঙ্গীর আলম বরুড়া উপজেলায় আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য হিসেবে কর্মরত।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ১৮ বছর আগে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একই উপজেলার খাড়াতাইয়া গ্রামের ছফর আলীর মেয়ে শাহিনুর আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে নানা বিষয়ে কলহ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পর জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তার স্ত্রীর কলহ শুরু হয়। এর জেরে গতকাল রোববার মধ্যরাতে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। সোমবার ভোররাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ শাহিনুরকে পেটান জাহাঙ্গীর। এ সময় শাহিনুর চিত্কার দিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এদিকে শাহিনুরের চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন জড়ো হয়ে ঘরের দরজা খুলতে বললেও দরজা খোলেননি তার স্বামী। এ সময় স্ত্রীর লাশের পাশেই বসে ছিলেন জাহাঙ্গীর। তিনি বাড়ির লোকদের পুলিশকে খবর দিতে বলেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ছয়টায় ওই বাড়িতে গেলে জাহাঙ্গীর ঘরের দরজা খুলে দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জাহাঙ্গীরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বুড়িচং থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাকসুদ আলম বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যার পর বিছানায় লাশের পাশে বসে ছিলেন জাহাঙ্গীর। তাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন শাহিনুরের বাবা ছফর আলী। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।