জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরে স্ত্রীর বেহিসাবি জীবনযাপনে অতিষ্ঠ হয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে মিলন ইকবাল। আত্মীয় বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী পাটখেতে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার শাহা।
রবিবার (৬ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, স্ত্রী রাখি খাতুনকে হত্যার দায় স্বীকার করে মিলন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে লাশ উদ্ধারের ছয়দিন পর হত্যার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হলো।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার শাহা জানান, মিলন ইকবাল পেশায় পোশাক শ্রমিক। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় ১৪ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন। সেই সুবাদে স্বামী-স্ত্রী ঢাকার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু অবাধ্য স্ত্রী রাখি খাতুনকে কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। রাখি কারণে অকারণে খরচ করতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিলন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পাটখেতে নিয়ে রাখিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আক্তার জানান, রাখি মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী। সন্তান জন্ম দিতে না পারায় প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাখিকে বিয়ে করেন। কিন্তু রাখিও দীর্ঘদিন সংসার করে সন্তান জন্ম দিতে পারেননি। পরে মিলন নাটোরের গোদাগাড়ি উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে তৃতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী রাখি বেহিসাবি হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, রাখির বিলাসিতার কারণে তৃতীয় স্ত্রীকে ঠিকঠাক ভরণপোষণ দিতে পারতেন না মিলন। এর এক পর্যায়ে ক্ষোভ থেকে ৩১ মে গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা গ্রামের মাঠে পাটখেতে নিয়ে স্ত্রী রাখিকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন মিলন।
পাটখেতে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যান মিলন। পরে মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে ঘটনা জানাজানি হয়। এ ঘটনায় নিহত রাখির ভাই মোরসালিন রাখির প্রথম স্বামী ইছারুল ও বর্তমান স্বামী মিলন ইকবালকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ শনিবার (৫ জুন) পাকড়ি গ্রাম থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।