জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের পল্লীতে লাথি মেরে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সুজন বাবুকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুজন নবাবগঞ্জের লাউগাড়ী গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুজনের সঙ্গে জাফরান আরার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ ৫ লাখ টাকা ও ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেয় জাফরানের পরিবার। কিন্তু স্বামীর বাড়ি এসে জানতে পারেন এর আগে ২-৩টি বিয়ে করেছেন সুজন।
এদিকে সুজন তার বাবা তাজ উদ্দিন ও মা রিনা বেগমের প্ররোচনা ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধর করতেন তিনি। মারধরের একপর্যায়ে অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারলে গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গৃহবধূ জাফরান আরা মঙ্গলবার নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
জাফরান আরা বলেন, ‘বিয়ের আগে সুজন আরও তিনটি বিয়ে করে এবং বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এসব গোপন রেখে সে আমাকে বিয়ে করে প্রতারণা করেছে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকতারুল কবীর জানান, প্রধান আসামি সুজন বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।